দুর্নীতিবিরোধী শপথ পাঠ, মোমবাতি প্রজ্বলন, দড়িতে মুলা ঝুলানো, পিএসসির সামনে পরিষ্কার অভিযান ও সাদা মুখোশ পরে আন্দোলনের পর এবার ‘কালো চশমা’ পরে আন্দোলন করছেন ৪০ তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা। ৬ দফা দাবি নিয়ে টানা ৯ম দিনের মতো শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা । তবে দীর্ঘদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকার পরেও পিএসসির নিরবতায় ‘চোখে কালো চশমা’ দিয়ে বসে থাকার শামিল বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সরকারি কর্ম-কমিশন (পিএসসি) গেটে মিছিল, কবিতা, গান ও বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী কয়েকজনের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হলে তারা জানান, আমরা লাগাতার ৯ দিন ধরে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পিএসসির কোনো প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। আমাদের আন্দোলন বা দাবি নিয়ে যেন তাদের মাথা ব্যথা নেই। পিএসসি সবকিছু জেনেও চোখে কালো চশমা দিয়ে বসে আছে। সুতরাং পিএসসির এই উদাসীনতা বুঝাতেই ‘কালো চশমা’ পরে আজ আমরা মাঠে নেমেছি।
তারা জানান, পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও কিভাবে বিধির দোহাই দেয় আমরা বুঝতে পারছি না। এখানে অনেকেই এক মাসের কোলের বাচ্চা নিয়েও আন্দোলনে এসেছেন দাবি আদায় করতে অথচ পিএসসির দায়িত্বশীলরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। একটি স্বাধীন দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
এ সময় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা- ‘আমার বোন রাস্তায় কেনো পিএসসি জবাব চাই, মেধাবীরা রাস্তায় কেনো পিএসসি জবাব চাই, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দাবি মোদের একটাই, নন- ক্যাডার নিয়োগ চাই, দাবি মোদের একটাই পূর্বের নিয়ম বহাল চাই, অনৈতিক সিদ্ধান্ত মানি না- মানবো না, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই, একাত্তরের হাতিয়ার- গর্জে উঠুক আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগানে মিছিল করেন।
এদিকে গত (৩১ অক্টোবর) পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অফিস শেষ করে বের হলে আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি অবরুদ্ধ করে শুয়ে পড়েন। পরে আন্দোলন সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যানের গাড়ি বের হতে দেওয়া হয়।