ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা, নারীসহ আহত ৪ জন উত্তর মানিক নগরে কাটা হলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চিনাইল পাগলের মেলায় মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ তাবলীগের তা’লীম বন্ধ, ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর বিষবৃক্ষ তামাক চাষের কবলে লালমনিরহাটের ফসলি জমি নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক গ্রেফতার; জেল, জরিমানা আর্ত মানবতার সেবায় বিএনপি : বিনা খরচে তারা পেলেন চোখের চিকিৎসা। নাটোরে লালপুর মোটরসাইকেল ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ বন্ধুর মৃত্যু  কমলনগরে ১নং চর কালকিনি ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছেন।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত

গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের শেষ চারের ভালো সম্ভাবনাই ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে নবম দল হয়ে। 

এই ম্যাচটা সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও দেখেছেন। এরপর তার মনে হয়েছে, তিনি অধিনায়ক বা কোচ হলে বাংলাদেশ দলের সবাইকে ধরে ধরে মানসিক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতেন।

মূলত ওপেনার নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচই এই ভাবনা উঁকি দিয়েছে তার মগজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন ফিফটি পেয়েছিলেন ৪৬ বল খেলে। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তাকে, তখনই তিনি আউট হয়েছেন অদ্ভুত এক শট খেলে।

‘বাংলাদেশের নিজেদেরই দোষ দেওয়া প্রয়োজন, এটা উচিতও। আমি যদি বাংলাদেশ দলের কোচ অথবা অধিনায়ক হতাম, তাহলে আমি এই বিষয়টা নিশ্চিত করতাম, যেন সব খেলোয়াড় মানসিক ডাক্তারের কাছে যায়। কারণ এক পর্যায়ে শান্ত ৫৪ রানে ব্যাট করছিল, দুই উইকেট খুইয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৭৩ রান, আমার মনে হচ্ছিল তারা অন্তত ১৬০ করবেই। কিন্তু এপর শান্ত উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইফতিখার একটা বলে অদ্ভুতভাবে শট খেলতে গেল, আর বোল্ড হলো। যদি আপনি সিঙ্গেল নিতে থাকতেন, তাহলে অনায়াসে ১৫৫ হয়েই যেত।’ – এ স্পোর্টসের দ্য প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠানে এমন কথাই বলেন আকরাম।

আকরামের মনে হয়েছে, বাস্তবসম্মত ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের সেরা বোলারকে বড় শট খেলে বশে আনতে চেয়েছিল দলটি। আকরামের অভিমত, বড় শটে মনোযোগ না দিয়ে শুধু সিঙ্গেল-ডাবলসে ভরসা করতে পারলেই দলের অবস্থানটা আরও ভালো হতো।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনি যখন দেখবেন একজন বোলার বল করতে আসছেন, আর তার অধিনায়ক তাকে উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন, তখন আপনি বড় শট খেলবেন না। আপনি স্ট্রাইক রোটেট করবেন সে ওভারে, কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল তাকে মারবেই, শাহিনকে মারবেই।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা, নারীসহ আহত ৪ জন

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত

আপডেট সময় ১২:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের শেষ চারের ভালো সম্ভাবনাই ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে নবম দল হয়ে। 

এই ম্যাচটা সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও দেখেছেন। এরপর তার মনে হয়েছে, তিনি অধিনায়ক বা কোচ হলে বাংলাদেশ দলের সবাইকে ধরে ধরে মানসিক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতেন।

মূলত ওপেনার নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচই এই ভাবনা উঁকি দিয়েছে তার মগজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন ফিফটি পেয়েছিলেন ৪৬ বল খেলে। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তাকে, তখনই তিনি আউট হয়েছেন অদ্ভুত এক শট খেলে।

‘বাংলাদেশের নিজেদেরই দোষ দেওয়া প্রয়োজন, এটা উচিতও। আমি যদি বাংলাদেশ দলের কোচ অথবা অধিনায়ক হতাম, তাহলে আমি এই বিষয়টা নিশ্চিত করতাম, যেন সব খেলোয়াড় মানসিক ডাক্তারের কাছে যায়। কারণ এক পর্যায়ে শান্ত ৫৪ রানে ব্যাট করছিল, দুই উইকেট খুইয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৭৩ রান, আমার মনে হচ্ছিল তারা অন্তত ১৬০ করবেই। কিন্তু এপর শান্ত উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইফতিখার একটা বলে অদ্ভুতভাবে শট খেলতে গেল, আর বোল্ড হলো। যদি আপনি সিঙ্গেল নিতে থাকতেন, তাহলে অনায়াসে ১৫৫ হয়েই যেত।’ – এ স্পোর্টসের দ্য প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠানে এমন কথাই বলেন আকরাম।

আকরামের মনে হয়েছে, বাস্তবসম্মত ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের সেরা বোলারকে বড় শট খেলে বশে আনতে চেয়েছিল দলটি। আকরামের অভিমত, বড় শটে মনোযোগ না দিয়ে শুধু সিঙ্গেল-ডাবলসে ভরসা করতে পারলেই দলের অবস্থানটা আরও ভালো হতো।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনি যখন দেখবেন একজন বোলার বল করতে আসছেন, আর তার অধিনায়ক তাকে উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন, তখন আপনি বড় শট খেলবেন না। আপনি স্ট্রাইক রোটেট করবেন সে ওভারে, কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল তাকে মারবেই, শাহিনকে মারবেই।’