লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গত ২৯ অক্টোবর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। সেই নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি করার দাবিতে আজ সোমবার সকাল বেলা রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আলমগীর হোসেনের বাসভবনের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা বিএনপির আহবায়কসহ সাবেক বিএনপির জেষ্ট নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।লক্ষ্মীপুর-১,রামগঞ্জ আসনের ধানের শীর্ষের মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় এই সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমের অনুসারীদের দলে অর্ন্তভুক্ত করায় জোর প্রতিবাদ জানান। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত নতুন আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগী, পরিক্ষিত, হামলা-মামলার শিকার, বাড়ি-ঘর হারানো, ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিভিন্ন ভাবে আহত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে, জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিপক্ষে অবস্থানকারী, আওয়ামীলীগের সাথে লেয়াজু করা ব্যক্তিবর্গ, অযোগ্য কর্মীদের নিয়ে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা এই আহবায়ক কমিটি বাতিলের জন্য আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছি।
যদি এই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত না হয়, তবে আমরা গন অনশন গনপদত্যাগ করতে বাদ্য হবে বলে জানান তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপি, বিএনপির নেতা এল রহমান, শাহবুদ্দিন তুর্কি, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জাকির হোসেন মোল্লা, যুগ্ন-আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিব হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিন আলম মুন্না, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সাদ্দাম, পৌর যুবদল নেতা সুমন চৌধুরী, শেখ পিন্টু, রাসেল ভূইয়া, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, হাইব্রিড ও এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমের কর্মি সমর্থকদের দলে অর্ন্তভুক্ত করতে কোটি টাকা বানিজ্য করে জেলা বিএনপি নেতারা।
বিগত দিনে যারা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে গতিহীন করতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না। অনতিবিলম্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিল না করলে গণপদত্যাগ ও অনশনের হুমকি দেয়া বক্তারা।