বাংলাদেশ সরকারের সাথে তিনটি লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করছে তার মধ্যে একটি হলো প্রতিরোধ যগ্য মাতৃমৃত্যু শূন্য নিয়ে আশা। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩ জন প্রতি একলক্ষ জীবিত জন্মে (২০২০)। মাতৃমৃত্যুর প্রধান দুইটি কারন হলো গর্ভকালীন সময়ে, প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তখরন ও একলামসিয়া।
এই দুইটি কারনে অর্ধেকর বেশি মা মারা যায়। এই দুইটি কারনের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ইনজেকশন অক্সিটোসিন, রক্তসঞ্চালন এর ব্যবস্থা ও ইনজেকশন মেগসালফেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেই সাথে রেফারেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য যানবাহন/এম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রাখা।
প্রতিরোধ যগ্য মাতৃমৃত্যু শূন্য নিয়ে আসতে হলে মায়েদেরকে গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে চার বার চেক আপ করাতে হবে। ডেলিভারি হাসপাতালে করাতে হবে তার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে যেমন রক্তের গ্ৰুপ জেনে রক্তদাতা ঠিক করে রাখা, জরুরী অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার জন্য যানবাহন ও টাকার ব্যবস্থা রাখা। প্রসবপরবর্তী চেক আপ করতে হবে।
সরকার উপজেলা হাসপাতালে মিডওয়াইফ দিয়েছেন এএনসি, ভেলিভারি ও পিএনসি সেবা দেয়ার জন্য। এই মুহূর্তে প্রায় ২৬০০ নিয়োগ দেয়া হয়েছে, আর ও ৫০০০ পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও নিয়োগ দেয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুটিন ডায়াগনষ্টিক ব্যবস্থা রয়েছে যার মধ্যে রক্তে গ্লুজ ও পস্রাবে প্রোটিন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভকালীন চেক আপ এর সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডিপুটি স্পিকার সামসুল হক টুকু, হুইপ মাহাবুব আরা গিনি, প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর রুহুল হক, প্রফেসর হাবীব এ মিল্লাত ও অন্যান্য সংসদ এর উপস্থিতিতে এব্যাপারে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করি।
তারপর সংসদ বৃন্দ তাদের মতামত প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির কোঅর্ডিনেটর, সিনিয়র সচিব, সংসদ কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, ডি জি নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি ও অন্যান্য প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।