ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর প্রয়োজনে বিআরটিএ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন সড়ক উপদেষ্টা কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি হামলায় আহত ৮ পাঁচবিবিতে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট রাজধানীর পাইকপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পুলিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের নতুন আলুর খোসা ছাড়াতে জেনে নিন সহজ কৌশল

দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান গ্রেপ্তার

দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, চলতি বছরের গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি তিনজন। তারা হলেন, আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম, সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্তে ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ড. এরতেজাকে গুলশান-২ অফিস থেকে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে পিবিআিইয়ের একটি দল।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০০৫ সাল থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করে আসছি এবং ডিএমপি দক্ষিণখান থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে আমার প্রজেক্ট চালু আছে। আমার বন্ধু কাজী শামীম মাহদী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে আমার সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি তার পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপম্যান্ট’ প্রজেক্টে প্লট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে দেন।

তখন কাজী শামীম মাহদী জানান, আপনাদের অনেক জায়গা আছে একটা জায়গা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য চান। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন আমার অফিসে কাজী শামীম মাহদী মামলার ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ(৫৮) সহ ২/৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।

দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির সাইট ভিজিট করে তারা জানায়, পাঁচ বিঘা জমি লাগবে। এবং তারা দক্ষিণখান মৌজার মহানগর জরিপ দাগ নং-২৬৮০৪, ২৬৮১৬, ২৬৪৮৬, ২৬৪৮৫, ২৬৪৮৭, ২৬৮০৮ এবং ২৬৪৮৯ পছন্দ করেন। আলাপ-আলোচনার পর জায়গার মূল্য ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করি। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে খিলক্ষেত থানাধীন আশিয়ান মেডিকেল কলেজে অবস্থিত আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত অফিসে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিপত্রে প্রথম পক্ষ হিসেবে মামলার এক আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জমির ক্রেতা এবং দুই নং আসামি মো. রিয়াজুল আলম সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিপত্রে উল্লেখ আছে, জমির দামের সম্পূর্ণ টাকা ওই বছরের ৩০ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে ১ম পক্ষ বাধ্য থাকবেন। কিন্তু উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ৫০ কোটি টাকার মধ্যে নগদে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করেন এবং অবশিষ্ট ২০ কোটি টাকা বাকি রাখেন। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধে সময় চান তারা। ১ নং আসামি বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাকি টাকা পরিশোধ করে দেব’। আমি সরল বিশ্বাসে তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি প্রদান করি। কাজ শুরু করার পর থেকে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন বাহানা করতে থাকেন।

এভাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেও অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমার জমি বিক্রির পাওনা টাকা চাইলে এক নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জানান, আমি কোনো টাকা তাদের কাছে পাব না। কারণ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং তারা জমির দাম বাবদ সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পরিশোধ করেছেন।

আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি হতবাক হয়ে যান এবং বলেন এটা কী করে সম্ভব? জমি রেজিস্ট্রির বিষয়ে আমার বড় ভাই কিছুই জানেন না এছাড়া তিনি নিজেও কয়েকবার অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করার জন্য তাগাদা প্রদান করেছেন।

পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমরা ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে জমি বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেই জমিটি রেজিস্ট্রিকৃত সাফ-কাবলা দলিল নং-১১৩৫৩ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ মূলে রেজিস্ট্রি হয়। জমির মূল্য ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। ওই দলিলের রেজিস্ট্রি সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে পারি, দলিলটি কমিশনিং এ রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এবং দলিল সম্পাদনকারী মোহরার হিসেবে আমার অফিসের মোহরার শহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। আমার মোহরার শহিদুল ইসলামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তিনি এ রকম কোনো দলিল লেখার কাজ করেননি।

আমি উক্ত দলিল সম্পর্কে ২ ও ৩ নং আসামির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, ‘নদার্ন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করেই আপনার জমি রেজিস্ট্রি করেছে’। আমি বারবার নদার্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই বিষয়ে আমি যেন বেশি বাড়াবাড়ি না করি এছাড়া আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষর, অফিসের সিল ও মোহার মো. শহিদুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জমির দলিলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই মামলার উল্লেখিত ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ (৫৮) ও ২ নং আসামি মো. রিয়াজুল আলমকে (৩৫) ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার করেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর

দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, চলতি বছরের গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি তিনজন। তারা হলেন, আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম, সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্তে ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ড. এরতেজাকে গুলশান-২ অফিস থেকে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে পিবিআিইয়ের একটি দল।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০০৫ সাল থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করে আসছি এবং ডিএমপি দক্ষিণখান থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে আমার প্রজেক্ট চালু আছে। আমার বন্ধু কাজী শামীম মাহদী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে আমার সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি তার পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপম্যান্ট’ প্রজেক্টে প্লট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে দেন।

তখন কাজী শামীম মাহদী জানান, আপনাদের অনেক জায়গা আছে একটা জায়গা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য চান। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন আমার অফিসে কাজী শামীম মাহদী মামলার ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ(৫৮) সহ ২/৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।

দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির সাইট ভিজিট করে তারা জানায়, পাঁচ বিঘা জমি লাগবে। এবং তারা দক্ষিণখান মৌজার মহানগর জরিপ দাগ নং-২৬৮০৪, ২৬৮১৬, ২৬৪৮৬, ২৬৪৮৫, ২৬৪৮৭, ২৬৮০৮ এবং ২৬৪৮৯ পছন্দ করেন। আলাপ-আলোচনার পর জায়গার মূল্য ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করি। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে খিলক্ষেত থানাধীন আশিয়ান মেডিকেল কলেজে অবস্থিত আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত অফিসে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিপত্রে প্রথম পক্ষ হিসেবে মামলার এক আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জমির ক্রেতা এবং দুই নং আসামি মো. রিয়াজুল আলম সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিপত্রে উল্লেখ আছে, জমির দামের সম্পূর্ণ টাকা ওই বছরের ৩০ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে ১ম পক্ষ বাধ্য থাকবেন। কিন্তু উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ৫০ কোটি টাকার মধ্যে নগদে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করেন এবং অবশিষ্ট ২০ কোটি টাকা বাকি রাখেন। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধে সময় চান তারা। ১ নং আসামি বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাকি টাকা পরিশোধ করে দেব’। আমি সরল বিশ্বাসে তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি প্রদান করি। কাজ শুরু করার পর থেকে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন বাহানা করতে থাকেন।

এভাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেও অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমার জমি বিক্রির পাওনা টাকা চাইলে এক নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জানান, আমি কোনো টাকা তাদের কাছে পাব না। কারণ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং তারা জমির দাম বাবদ সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পরিশোধ করেছেন।

আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি হতবাক হয়ে যান এবং বলেন এটা কী করে সম্ভব? জমি রেজিস্ট্রির বিষয়ে আমার বড় ভাই কিছুই জানেন না এছাড়া তিনি নিজেও কয়েকবার অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করার জন্য তাগাদা প্রদান করেছেন।

পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমরা ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে জমি বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেই জমিটি রেজিস্ট্রিকৃত সাফ-কাবলা দলিল নং-১১৩৫৩ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ মূলে রেজিস্ট্রি হয়। জমির মূল্য ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। ওই দলিলের রেজিস্ট্রি সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে পারি, দলিলটি কমিশনিং এ রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এবং দলিল সম্পাদনকারী মোহরার হিসেবে আমার অফিসের মোহরার শহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। আমার মোহরার শহিদুল ইসলামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তিনি এ রকম কোনো দলিল লেখার কাজ করেননি।

আমি উক্ত দলিল সম্পর্কে ২ ও ৩ নং আসামির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, ‘নদার্ন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করেই আপনার জমি রেজিস্ট্রি করেছে’। আমি বারবার নদার্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই বিষয়ে আমি যেন বেশি বাড়াবাড়ি না করি এছাড়া আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষর, অফিসের সিল ও মোহার মো. শহিদুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জমির দলিলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই মামলার উল্লেখিত ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ (৫৮) ও ২ নং আসামি মো. রিয়াজুল আলমকে (৩৫) ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার করেছে।