হোটেল রুমে ছিলেন না বিরাট কোহলি। এমন সময় অনুমতি ছাড়াই তার রুমে ঢুকে পড়েন হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মী। ব্যাপারটা অবশ্য এখানে সীমাবদ্ধ থাকলেও চলতো। হোটেল কর্মীরা ভিডিও প্রকাশ করে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সেটাই রাগিয়ে দেয় কোহলিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো বিস্ফোরণই ঘটিয়ে বসেন তিনি।
এরপরেই মেলবোর্নের ক্রাউন পার্থের হোটেলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় সুপারস্টার ক্রিকেটারের কাছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্মীকেও বরখাস্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলার সময় পার্থের এই হোটেলেই ছিলেন।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকে। কোহলির এক সমর্থক কোহলির হোটেল রুমে তো ঢুকেছেনই, সেখানে ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপলোড করে দেন। কোহলির নজরে পড়তেই তিনি ফুঁসে উঠেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। পরে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হোটেল কর্মী।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কোহলি। তিনি লিখেন, ‘আমি জানি, ভক্তরা সব সময় তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে দেখে আনন্দ পান, তার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি তাদের সম্মান করি। কিন্তু এই ভিডিও দেখে আমি আতঙ্কিত। যদি হোটেলের রুমেই আমার গোপনীয়তা রক্ষা না হয়, তা হলে কোথায় হবে? এই ধরনের ভালবাসা আমি চাই না। এ ভাবে কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকা উচিত না নয়। দয়া করে সবার প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।’
অদ্ভুত এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। বলিউডের এ অভিনেত্রী নিজের ইন্সটাগ্রামে স্টোরি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘আগেও এমন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে যেখানে ভক্তরা কোনো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি। কিন্তু এটা একটা জঘ্যন্য কাজ। যারা এটা দেখে মনে করছেন তারকাদের সঙ্গে এটা করাই যায় তাহলে আপনিও একই ভুলের মধ্যে আছেন।’
ভারতীয় তারকা ব্যাটারের সঙ্গে এমন দুর্ঘটনায় অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় জড়িত সব কর্মীকে চাকরিচ্যুতও করেছে পার্থের হোটেলটি। সোমবার একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে ক্রাউন হোটেল কর্তৃপক্ষ।