ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

কৃষি মার্কেটের ৪ শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের কাঁচাবাজার ও নতুন কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ দোকানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে লাগা আগুনে মার্কেটে চার শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের হক বেকারিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে একে একে অন্যান্য দোকানগুলোয় লাগে।

ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে একটি ইউনিট এলেও মার্কেট বন্ধ থাকায় সেটির সদস্যরা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। যে কারণে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কৃষি মার্কেটের কাপড়ের বিক্রেতা মাহবুব হাসান জানান, তার দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল। কিছুই বের করতে পারেননি। মার্কেটের পাশে যাদের দোকান ছিল তারা কিছু মালামাল বের করতে পারলেও ভেতরের দিক থেকে কেউ কিছু বের করতে পারেনি।

শফিকুল ইসলাম নামে এক জুতার দোকানি বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারলে আগুনে চার-পাঁচশ দোকান পুড়তো না। ব্যবসায়ীদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারেনি তারা।

ওয়াহিদ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, তিনি রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। মার্কেটে এ সময় আগুর জ্বললেও তার দোকান স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন তার দোকান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। মার্কেটের ভেতর হওয়ায় তিনি দোকানে যেতে পারেননি। দুই মার্কেটে প্রায় পাঁচশোর বেশি দোকান ছিল সব পুড়ে গেছে।

ওয়াহিদ বলেন, হক বেকারি থেকে প্রথমে আগুন লাগে। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথম ফায়ার ইস্টিংগুইসার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু দোকানের শাটার বন্ধ থাকায় কোনো কাজে আসেনি। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের ঘটনায় ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকানগুলো।

এদিকে পৌনে ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। তিনি জানান, ভোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিট ও ১৩৭ জন কর্মী। আগুন নির্বাপণে এখনো আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপণী সাহায্যকারী দল। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ, উদ্ধার অভিযান ও সার্বিক শৃঙ্খলায় ঘটনাস্থলে কাজ করে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, স্কাউটের ভলান্টিয়ার সদস্যরা। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মার্কেটে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

কৃষি মার্কেটের ৪ শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই

আপডেট সময় ১১:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের কাঁচাবাজার ও নতুন কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ দোকানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে লাগা আগুনে মার্কেটে চার শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের হক বেকারিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে একে একে অন্যান্য দোকানগুলোয় লাগে।

ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে একটি ইউনিট এলেও মার্কেট বন্ধ থাকায় সেটির সদস্যরা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। যে কারণে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কৃষি মার্কেটের কাপড়ের বিক্রেতা মাহবুব হাসান জানান, তার দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল। কিছুই বের করতে পারেননি। মার্কেটের পাশে যাদের দোকান ছিল তারা কিছু মালামাল বের করতে পারলেও ভেতরের দিক থেকে কেউ কিছু বের করতে পারেনি।

শফিকুল ইসলাম নামে এক জুতার দোকানি বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারলে আগুনে চার-পাঁচশ দোকান পুড়তো না। ব্যবসায়ীদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারেনি তারা।

ওয়াহিদ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, তিনি রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। মার্কেটে এ সময় আগুর জ্বললেও তার দোকান স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন তার দোকান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। মার্কেটের ভেতর হওয়ায় তিনি দোকানে যেতে পারেননি। দুই মার্কেটে প্রায় পাঁচশোর বেশি দোকান ছিল সব পুড়ে গেছে।

ওয়াহিদ বলেন, হক বেকারি থেকে প্রথমে আগুন লাগে। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথম ফায়ার ইস্টিংগুইসার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু দোকানের শাটার বন্ধ থাকায় কোনো কাজে আসেনি। মুহূর্তেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের ঘটনায় ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকানগুলো।

এদিকে পৌনে ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। তিনি জানান, ভোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিট ও ১৩৭ জন কর্মী। আগুন নির্বাপণে এখনো আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপণী সাহায্যকারী দল। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ, উদ্ধার অভিযান ও সার্বিক শৃঙ্খলায় ঘটনাস্থলে কাজ করে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই, স্কাউটের ভলান্টিয়ার সদস্যরা। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মার্কেটে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়।