টেকনাফে বসে গাজীপুরের কালীগঞ্জে দুই হাজার পিস ইয়াবা ডেলিভারির অর্ডার পান মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৫৫)। এরপর ইয়াবা হোম ডেলিভারির উদ্দেশ্যে টেকনাফ থেকে কালীগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী তামিমের কাছে আসে এবং ইয়াবার চালান স্থানান্তর করতে থাকেন।
এরই মধ্যে পুলিশের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে যায়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী মিলগেইট (বর্তমান হা-মীম গ্রুপ) এলাকায় পৌছে অভিযান পরিচালনা করে আবুল কালামকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তামিম পালিয়ে যায়। পরে আবুল কালামের দেহ তল্লাশি করে ৫’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যেই বাকি ১৫’শ পিস ইয়াবা তামিমের কাছে হস্তান্তর করেছিলো আবুল কালাম। ওই ইয়াবা সঙ্গে নিয়েই পালিয়ে যায় তামিম।
গ্রেফতার আবুল কালাম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার খৈনকারপাড়া (খোনকার ডেইল) এলাকার মৃত ফজল আহাম্মদের ছেলে। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। পালাতক তামিম কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী এলাকার বাসিন্দা।
সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ভাদার্ত্তীর হা-মীম গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আবুল কালামকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় অপর একজন পালিয়ে যায়। পরে আবুল কালামের দেহ তল্লাশি করে ৫শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। সে সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম জানায় তার বাড়ী টেকনাফে। সে পালিয়ে যাওয়া তামিমের কাছে ২ হাজার পিস ইয়াবা ডেলিভারি করতে কালীগঞ্জে এসেছে। তামিমের বাড়ী কালীগঞ্জের ভাদার্ত্তী এলাকায়। পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পূর্বেই সে ১৫শ পিস ইয়াবা তামিমের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে আবুল কালাম।
এ ঘটনায় গ্রেফতার আবুল কালাম ও পলাতক আসামি তামিমের বিরুদ্ধে শুক্রবার মধ্যরাতে এস আই মো. মশিউর রহমান খান বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে শনিবার দুপুরে মাদক মামলায় আবুল কালামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, গ্রেফতার আবুল কালামের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় দুইটি এবং চট্রগ্রামের বাঁশখালী থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। সে ইতিপূর্বেও মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গিয়ে ছিল।