পিএসজির বিপক্ষে তাদেরই মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল ত্রয়ে, তাও এক বার নয়, দুই বার! তবে যে দলে লিওনেল মেসি আর নেইমার আছেন, তাদের আবার অত ভাবনা কীসের? খুব বেশি ভাবতেও হয়নি। মূহুর্তের ঝলকে মেসি-নেইমার যা করলেন, সেটাই পিএসজির জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছে গত রাতে। ত্রয়ের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিসিয়ানরা।
পিএসজি নিজেদের মাঠে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই। পার্ক দেস প্রিন্সেসে হাজির দর্শকদের স্তব্ধ করে দেওয়ার কাজটা করেন মামা বালদে। পিছিয়ে পড়ে এরপর পিএসজি মরিয়া হয়ে আক্রমণ শুরু করে ত্রয়ে রক্ষণে।২৪ মিনিটে তার ফলটাও পেয়ে যায় দলটি। নেইমারের পাস থেকে গোলটা করেন কার্লোস সোলের, পিএসজির জার্সিতে এটি তার প্রথম লিগ গোল ।
এরপর আরও আক্রমণ করেও প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি পিএসজি। ১-১ সমতায় থেকে বিরতিতে যাওয়া দলটিকে দ্বিতীয়ার্ধে আবারও এক ধাক্কা দেন সেই মামা বালদে। ৫২ মিনিটে গোলটা হজম করে অবশ্য পিএসজি প্রতিক্রিয়া দেখাতে খুব বেশি একটা সময় নেয়নি।
৫৫ মিনিটে সার্জিও রামোসের বল বক্সের অনেক বাইরে পান মেসি, পেয়েই করে বসেন শট। সেটা গিয়ে আছড়ে পড়ে ত্রয়ের জালে। এর মিনিট ছয়েক পর আবারও মেসি জাদু, এবার অবশ্য গোল করেননি, করিয়েছেন। মাঝমাঠে বল নিয়ে পাসের অপশন খুঁজছিলেন, চকিতেই দেখতে পেলেন শেষ ডিফেন্ডারের সঙ্গে নেইমারের উপস্থিতি; ব্যস, তার এক রক্ষণচেরা পাসে ভেঙে ছত্রখান ত্রয়ের প্রতিরোধ, বল গিয়ে পড়ে নেইমারের পায়ে। ব্রাজিল তারকা গোল করতে ভুল করেননি, পিএসজিও এগিয়ে যায় ম্যাচে প্রথমবারের মতো।
৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলের খাতায় নাম লেখান কিলিয়ান এমবাপে, ফলে ম্যাচটা সফরকারীদের নাগাল থেকে দূরে নিয়ে যায় পিএসজি। তাই শেষ সময়ে আনতে পালাভের্সার গোলে ব্যবধানটাই কেবল কমেছে, জয়, কিংবা নিদেনপক্ষে ড্র করা সম্ভব হয়নি ত্রয়ের। এই জয়ের ফলে পিএসজি লিগ আঁর শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরেকটু শক্ত করল বৈকি! ১৩ ম্যাচ থেকে ৩৫ পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে। আর দুইয়ে থাকা লেঁসের সংগ্রহ সমান ম্যাচে ৩০।