বাংলাদেশ বিশ্বকাপে পা রেখেছিল অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে নিয়ে। ওপেনিং ছিল তার একটা। তবে শুরুর দুই ম্যাচে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের জুটিটা নেহায়েত মন্দ করেনি। তাতেই বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের মনে হচ্ছে, সৌম্য-শান্তর ওপেনিং জুটিটা ‘জমে গেছে’।
আগামীকাল রোববার ব্রিসবেনের গ্যাবায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এর ঠিক আগের ম্যাচটা, অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সময়টা ভালো কাটেনি দলের। বোলিংয়ে ২০৫ রান হজম করে জবাব দিতে নেমে অলআউট হয়েছে ১০১ রানে।
সেই ম্যাচে ইতিবাচক খুব বেশি কিছু ছিল না। তবে সেই ম্যাচেও সৌম্য-শান্তর উদ্বোধনী জুটি নজর কেড়েছে খানিকটা। শুরুর ওভারে সৌম্য সরকারের দুই ছক্কায় বাংলাদেশ তোলে ১৭ রান, দুই ওভার শেষে ২৬। এরপর আনরিখ নরকিয়ার বলে ফিরলেও সৌম্যর ব্যাটে বাংলাদেশ যে আশা দেখছিল খানিকটা, সেটা ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
এর আগের ম্যাচে দুই জনের ব্যাটে চড়ে ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি পায় বাংলাদেশ, যা শেষ ২৪ ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দু’জনের ২৬ রানের জুটিটাও এই সময় বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ!
এরপরও অবশ্য আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরামকে মুখোমুখি হতে হয় ওপেনিং নিয়ে প্রশ্নের। জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো ওপেনিং নিয়ে পড়ে আছেন, হ্যাঁ? আমার মনে হয় এটা ভালোই। আমরা প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান পেয়েছিলাম, দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলতে পেরেছিলাম, ওপেনিং জুটিটাকে বেশ জমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
শ্রীরামের প্রথম সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই দেশের ক্রিকেটে আলোচিত শব্দ ‘ইমপ্যাক্ট’। সৌম্য-শান্তর ব্যাটে কি সেই ইমপ্যাক্টের দেখা মিলছে বা মিলবে? বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট বলছেন, ‘এদের যে-ই ছন্দে চলে আসুক, বড় ইনিংস খেলার, যে ইমপ্যাক্টের কথা বলেছি, সে ইমপ্যাক্টটা ফেলার সক্ষমতা তার আছে। আমি মনে করি সৌম্য ও শান্ত’র এখন শেখার প্রক্রিয়া চলছে, আমি মনে করি তারা এটা চালিয়ে যেতে পারবে।’
দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট ঝুলিতে জমা করেছে বাংলাদেশ। এখান থেকে সেমিফাইনালটাও খুব সম্ভব দলের। তবে আপাতত সেই ভাবনা শ্রীরাম দূরেই রাখতে চাইছেন। বললেন, ‘আমি আপনাদের আগেও বলেছি, আমরা প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। আমরা খুব বেশি দূরের কথা ভাবছি না, আমাদের পরের চ্যালেঞ্জ জিম্বাবুয়ে। ’