লিওনেল মেসি ক্যারিয়ার সায়াহ্নে যে চলে এসেছেন, সেটা তার সাম্প্রতিককালের সাক্ষাৎকারগুলোতেই স্পষ্ট বোঝা যায়। বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে তার। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে, কিংবা অবসরের পর কী করবেন, সেটা নিয়েও ইঙ্গিত দেন সেগুলোয়।
বিশ্বকাপ আসছে, ৩৫ বছর বয়সে এই বিশ্বকাপ খেলবেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এটাই মেসির শেষ বিশ্বকাপ কি না। মেসির সবশেষ সাক্ষাৎকারে এমন একটা প্রশ্ন ধেয়ে গিয়েছিল তার কাছে। তার জবাবে মেসি বলেছিলেন এই বিশ্বকাপই যে তার শেষ, সেটা অনেকটা নিশ্চিতই। তবে তার সতীর্থ লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা; জানালেন, এবারের বিশ্বকাপই তার শেষ হচ্ছে না, প্রয়োজনে তার জন্য যুদ্ধেও নামবে তার দল।
চলতি মাসের শুরুতে আর্জেন্টাইন সাংবাদিক সেবাস্তিয়ান ভিনইয়োলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপের পর আর কোনো বিশ্বকাপে তাকে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যাবে না। জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপই হবে তার শেষ বিশ্বকাপ।
তার ভাষ্য, ‘এই বিশ্বকাপের অপেক্ষায় আছি। খুব রোমাঞ্চ আর খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে আমার। এই শিরোপাটা জিততে চাই, তবে কী হবে তা জানি না। এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে, এটা নিশ্চিত। এই সিদ্ধান্তটা আমি নিয়ে ফেলেছি।’এই কথাটা তার আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিসান্দ্রো মার্টিনেজ মানতেই চাইছেন না। বলছেন, ‘এই বিশ্বকাপই মেসির শেষ হয় কী করে? সে পাগলামি করছে। আমরা তাকে মোটেও যেতে দেব না, প্রয়োজনে তার জন্য যুদ্ধে যাব।’
আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের অনেকেরই শেষ দুই দশকের দুই সেরা খেলোয়াড় মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে, সম্প্রতি তাতে যোগ হয়েছে লিসান্দ্রোর নাম। এর আগে আনহেল ডি মারিয়া, গনজালো হিগুয়াইন, পাওলো দিবালারা খেলেছিলেন দু’জনের সঙ্গে।
এই নিয়ে তার ভাষ্য, ‘আমার নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয়। তাদের সঙ্গে খেলতে পারছি, এটা অনেক সম্মানের বিষয়। তারা সব জিতেছে, এরপরও তাদের ক্ষুধা একটু কমেনি।’