ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সাহসিকতা ও সাফল্যের সঙ্গে দেশব্যাপী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২ উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

জেলা ও সিটি ইউনিটের আওতাধীন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও মুক্তদলের যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্বেচ্ছাসেবক, সোসাইটির কর্মকর্তাসহ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

কোভিড-১৯ অপারেশনে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকরা ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২ আয়োজন করছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গঠন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং গবাদি পশুর আশ্রয়ের জন্য ১৭২টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন, যা ‘মুজিবকিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সমন্বিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাসটার’ প্রণয়ন করি। ২০১০ সালে এটি সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১১ প্রণয়ন করেছি। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ প্রণয়ন করেছি। ২০১২ সালে আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়’ নামে আলাদা মন্ত্রণালয় এবং ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরা ইতোমধ্যে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই আন্দোলন আরো গতিশীল হবে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের সময়েই যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রমকে ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সব অংশগ্রহণকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামীতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, সুন্দর, সবুজ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এ আমার প্রত্যাশা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে

আপডেট সময় ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সাহসিকতা ও সাফল্যের সঙ্গে দেশব্যাপী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২ উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

জেলা ও সিটি ইউনিটের আওতাধীন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও মুক্তদলের যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্বেচ্ছাসেবক, সোসাইটির কর্মকর্তাসহ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

কোভিড-১৯ অপারেশনে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকরা ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২ আয়োজন করছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গঠন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং গবাদি পশুর আশ্রয়ের জন্য ১৭২টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন, যা ‘মুজিবকিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সমন্বিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাসটার’ প্রণয়ন করি। ২০১০ সালে এটি সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১১ প্রণয়ন করেছি। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ প্রণয়ন করেছি। ২০১২ সালে আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়’ নামে আলাদা মন্ত্রণালয় এবং ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরা ইতোমধ্যে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই আন্দোলন আরো গতিশীল হবে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের সময়েই যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রমকে ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সব অংশগ্রহণকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামীতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, সুন্দর, সবুজ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এ আমার প্রত্যাশা।