যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের এই বার্তাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শি-র একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
শি জিনপিংয়ের মন্তব্যের পর অনেকে ধারণা করছেন, ওই বৈঠককে চীন দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতে কাজে লাগাতে চায়।চীনের সরকারি টেলিভিশন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন কমিটির একটি অনুষ্ঠানের জন্য পাঠানো বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দুই দেশের উচিত পারস্পরিক স্বার্থরক্ষায় সহযোগিতা এবং সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা।’ শি জানান, তাইওয়ান বিষয়ে অবস্থান ও রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর সংস্থাগুলো যাতে চীনের সংস্থাগুলোকে প্রযুক্তি বিক্রি না করে, সে জন্য তাদের ওপরে চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন, যা ঠিক নয়।
আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে যাচ্ছেন বাইডেন। সেখানে থাকছেন চীনা প্রেসিডেন্টও। দুই নেতাকে মুখোমুখি বসানোর জন্য দু’দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে তৎপরতা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বাইডেন মন্তব্য করেছেন, তাইওয়ান নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকলেও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে যেতে চায় না।
এরপরই তার বার্তায় শি জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা দুই বৃহৎ ও শক্তিশালী দেশ। বিশ্বের প্রয়োজন রয়েছে আমাদের। তাই মনোমালিন্য এড়িয়ে এগিয়ে যেতেই পারি।’