দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, ও দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত একটি কমিশন।
দেশে দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কাজ প্রতিরোধ করে যাচ্ছে সে-ই আলোকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দে’র ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।
মামলার বিষয়টি বিজনেস বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে।
মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে…..
মামলার এজাহার বলা হয়, প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ সদস্য সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ২০১৭ সালে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন।
পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য পাওয়ায় ২০১৮ সালে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দাখিল করে দুদক। পরবর্তীতে পুলিশের এসআই সুমন কুমার দে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা প্রদান করেন।
এ ছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা। সুমন কুমার দে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফাইনান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাতা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমার দে’র ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ মোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোনো দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
সুমন কুমার দে ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।