ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
চলেছে সিআরপির আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ

১২ হাজার রোগী পাবেন চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা

পক্ষঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) সাভার সদর দপ্তরের আদলে প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগে আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌরসভার কাপাসিয়ায় রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক সংলগ্ন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারের দান করা ১৫ বিঘা জমির উপর এই পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এই ‘সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার’ থেকে বছরে ১২ হাজার রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা নিতে পারবে। এছাড়া ৪ বছর মেয়াদি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এর সঙ্গে চুক্তি ও জমিদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেন এবং ৩১ মে সিআরপিকে জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও মরহুমা জাহানারা জামানের পুত্র সাবেক মেয়র এএইচএম উজ্জামান লিটন হ্যাঁরে ভাই।

সিআরপি-রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে অপারেশন, প্যাথলজি ও রেডিওলজি সেবা পাওয়া যাবে। অভ্যন্তরীণ সেবার মধ্যে থাকবে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি পুনবার্সন কেন্দ্র, অটিজম ও সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিশুবিভাগ, স্ট্রোক রোগীদের জন্য পুনর্বাসন ওয়ার্ড, মেডিকেল কনসালটেন্সি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুরেজ থেরাপি, শিশু বিভাগ, ক্লাব ফুট বা মুগুর পা চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ডে কেয়ার সেন্টার। পুনর্বাসন সেবাসমূহের মধ্যে থাকবে আর্থ-সামাজিক সহায়তা, সমাজভিত্তিক পুনর্বাসন, মনো-সামাজিক কাউন্সিলিং, ক্রীড়া ও বিনোদন। আর সহায়ক ও পুনর্বাসন সামগ্রীর মধ্যে থাকবে প্রস্থেটিক্স এবং অর্র্থোটিক্স (কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন), অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, সাপোর্টিভ সিটিং বিভাগ, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী। এছাড়াও এখানে গড়ে তোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১ বছরের ইন্টার্নশিপ সহ ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন অকুপেশনাল থেরাপি, বিএসসি ইন স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। অবকাঠামো সুবিধার মধ্যে থাকবে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত, অটিজম, সেরিব্রাল পালসি ও স্ট্রোক রোগীদের জন্য পুনবার্সন সেবাদান কেন্দ্র, ভর্তিকৃত রোগীদের আবাসন সুবিধা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসকদের জন্য আবাসন সুবিধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, সিআরপি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সেবার ক্ষেত্রে নতুন দ্বারের উন্মোচন। অবহেলিত ও অসহায় মানুষেরা এখান থেকে সেবা পাবেন। অসহায় মানুষের আত্মাবিশ্বাস বাড়াবে, অক্ষমকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলবে।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সহধর্মিণী মরহুমা জাহানারা জামানের ইচ্ছা ছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে এ প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সিআরপি‘র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ড. ভেলরী এন টেইলর বলেন, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দানের ১৫ বিঘা জমিতে রাজশাহীতে সিআরপি আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এখানে পরিপূর্ণ পুনর্বাসন প্রদান, কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি ও সংযোজন, অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হবে।

সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষের কল্যানে আমার পিতা ও মাতার নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার ইচ্ছে ছিল। রাজশাহীতে সিআরপি‘র আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার অসহায় মানুষ সেবা নিতে পারবেন। শুধু চিকিৎসা নয়, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রের গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া কাটাখালি ও কাপাসিয়া এলাকা এগিয়ে যাবে।

সিআরপি রাজশাহীর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক সোমা বেগম জানান, ইতোমধ্যে সিআরপি রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের মূল ভবনসহ অন্যান্য নকশা তৈরি করা হয়েছে। সেটি চূড়ান্তের কাজ চলমান আছে। আশা করছি দ্রুত সেটি চূড়ান্ত হবে এবং আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

চলেছে সিআরপির আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ

১২ হাজার রোগী পাবেন চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা

আপডেট সময় ০৫:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

পক্ষঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) সাভার সদর দপ্তরের আদলে প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগে আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌরসভার কাপাসিয়ায় রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক সংলগ্ন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারের দান করা ১৫ বিঘা জমির উপর এই পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এই ‘সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার’ থেকে বছরে ১২ হাজার রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা নিতে পারবে। এছাড়া ৪ বছর মেয়াদি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এর সঙ্গে চুক্তি ও জমিদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেন এবং ৩১ মে সিআরপিকে জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও মরহুমা জাহানারা জামানের পুত্র সাবেক মেয়র এএইচএম উজ্জামান লিটন হ্যাঁরে ভাই।

সিআরপি-রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে অপারেশন, প্যাথলজি ও রেডিওলজি সেবা পাওয়া যাবে। অভ্যন্তরীণ সেবার মধ্যে থাকবে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি পুনবার্সন কেন্দ্র, অটিজম ও সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিশুবিভাগ, স্ট্রোক রোগীদের জন্য পুনর্বাসন ওয়ার্ড, মেডিকেল কনসালটেন্সি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুরেজ থেরাপি, শিশু বিভাগ, ক্লাব ফুট বা মুগুর পা চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ডে কেয়ার সেন্টার। পুনর্বাসন সেবাসমূহের মধ্যে থাকবে আর্থ-সামাজিক সহায়তা, সমাজভিত্তিক পুনর্বাসন, মনো-সামাজিক কাউন্সিলিং, ক্রীড়া ও বিনোদন। আর সহায়ক ও পুনর্বাসন সামগ্রীর মধ্যে থাকবে প্রস্থেটিক্স এবং অর্র্থোটিক্স (কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন), অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, সাপোর্টিভ সিটিং বিভাগ, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী। এছাড়াও এখানে গড়ে তোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১ বছরের ইন্টার্নশিপ সহ ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন অকুপেশনাল থেরাপি, বিএসসি ইন স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। অবকাঠামো সুবিধার মধ্যে থাকবে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত, অটিজম, সেরিব্রাল পালসি ও স্ট্রোক রোগীদের জন্য পুনবার্সন সেবাদান কেন্দ্র, ভর্তিকৃত রোগীদের আবাসন সুবিধা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসকদের জন্য আবাসন সুবিধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, সিআরপি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সেবার ক্ষেত্রে নতুন দ্বারের উন্মোচন। অবহেলিত ও অসহায় মানুষেরা এখান থেকে সেবা পাবেন। অসহায় মানুষের আত্মাবিশ্বাস বাড়াবে, অক্ষমকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলবে।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সহধর্মিণী মরহুমা জাহানারা জামানের ইচ্ছা ছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে এ প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সিআরপি‘র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ড. ভেলরী এন টেইলর বলেন, সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দানের ১৫ বিঘা জমিতে রাজশাহীতে সিআরপি আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এখানে পরিপূর্ণ পুনর্বাসন প্রদান, কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি ও সংযোজন, অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হবে।

সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষের কল্যানে আমার পিতা ও মাতার নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার ইচ্ছে ছিল। রাজশাহীতে সিআরপি‘র আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার অসহায় মানুষ সেবা নিতে পারবেন। শুধু চিকিৎসা নয়, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রের গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া কাটাখালি ও কাপাসিয়া এলাকা এগিয়ে যাবে।

সিআরপি রাজশাহীর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক সোমা বেগম জানান, ইতোমধ্যে সিআরপি রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের মূল ভবনসহ অন্যান্য নকশা তৈরি করা হয়েছে। সেটি চূড়ান্তের কাজ চলমান আছে। আশা করছি দ্রুত সেটি চূড়ান্ত হবে এবং আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।