ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় বাইউস্ট গ্লোবাল অ্যাফেয়ারস কাউন্সিলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভিয়েতনাম থেকে এসেছে ২৯ হাজার টন চাল মানিকগঞ্জে বিশ্ব পানি দিবস পালিত অজানা এক ইতিহাস টাকশাল নগরী মাহিসন্তোষ- ধামইরহাট, নওগাঁ বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা, আটক ১ ময়মনসিংহ ভালুকায় হাসিনা ও কাদেরসহ ৩৯৫ জনের নামে হত্যা মামলা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৫ বাংলাদেশী নাগরিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ ছাত্রদলের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার কর্মসূচি বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বাইউস্ট গ্লোবাল অ্যাফেয়ারস কাউন্সিলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।