ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা কারণে ২০২৩ সাল মহাসংকটের বছর হতে যাচ্ছে বলে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে সরকার সতর্ক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার যার জায়গা আছে, চাষ শুরু করে দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যেটুকু বিদ্যুৎ দরকার সেটুকু দিতে পারব। জনগণের কষ্ট যেন না হয়, সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন কি নিজেরা শান্তিতে থাকা যায়? উন্নত দেশের মানুষরা কষ্ট পাচ্ছে। আমার দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষি খাতে বাজেট ছাড়াও আলাদা বাজেট করেছি। আমার দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে।’
গ্রামের পথের পাশে পেঁপে গাছের মতো গজিয়ে ওঠা ভেন্নাকে তেল হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শও দেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। কম্বোডিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা যাবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সবাই মিলে যদি এই চিন্তা করে দেশটা আমাদের, দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির খুঁটিতে জোর নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি তাদের অতীতের কথা ভুলে গেছে। একটা মিলিটারির ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হওয়া একটা দল। আমরা নির্বাচনটাকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। মানুষ যেন তার ভোটটা দিতে পারে, সেই পরিবেশটা আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে। বিএনপির খুটায় যদি জোর থাকত, তাহলে বিদেশিদের কাছে যেত না। তারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়ায়, জনগণের কাছে যায় না।’
কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা আছে, সবসময় নেতিবাচক চিন্তা। এরকম মানুষও আছে। তবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। জনগণের যেন কষ্ট না হয় আমি সেদিকে দৃষ্টি দেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক বিলিয়ন রিজার্ভ, ৪৪ মিলিয়ন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিলাম। তবে আমরা যখনই আসি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী, এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি।’
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল