সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সু চিকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত বুধবার (১২ অক্টোবর) ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী এই রাজনীতিক বরাবরই সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী একজন ব্যক্তিত্ব। গত বছরের শুরুর দিকে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে আটক করে দুর্নীতি থেকে নির্বাচনে জালিয়াতি পর্যন্ত কমপক্ষে ১৮টি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে।
রাজধানী নেইপিদোর রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে। সু চি অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন। রয়টার্স বলছে, বুধবার সু চিকে দেওয়া কারাদণ্ড একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় ওই সূত্রটি তার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরও বলছে, সু চি দু’টি অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন এবং এই সাজা একই সাথে ভোগ করবেন তিনি। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরোধীরা বলছেন, সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে আবারও রাজনীতিতে জড়াতে বাধা দেওয়া বা গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় সেনাবাহিনীর দখলকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টাকে আটকে দেওয়া।
অবশ্য সর্বশেষ এই রায় নিয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে জান্তা জোর দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন এবং যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী সুবিধা পাচ্ছে।