ফরাসি কাপ থেকে বিদায় এবং মেসি-এমবাপের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পিএসজি। নেইমার থাকলেও লিগ ওয়ানের ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে ফরাসি জায়ান্টরা হতাশা উপহার দিয়েছে। প্রতিপক্ষের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে নিজের ছায়া হয়েই রইলেন নেইমার।
শনিবার পুরো ম্যাচজুড়ে অসহায় বনে যাওয়া ক্রিস্তফ গালতিয়ের দলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোনাকো। দলের গোলরক্ষক জোয়ানলুইজি দোন্নারুমা কয়েকটি ভালো সেভ না করলে গোলের ব্যবধান আরো বেশি হতে পারতো!
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজি যেন ফরাসি কাপ হারের বৃত্তেই আটকে ছিল। মহাতারকা মেসি ও এমবাপের বিকল্প ভূমিকা তো দূরে থাক, নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দই তারা দেখাতে পারেনি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে আলেকসান্দার গোলোভিন ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাইরে থেকে জোরালো শটে মোনাকোকে লিড এনে দেন। এরপর মাত্র ১৮ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। কোনাকুনি শটে মোনাকোর লিড দ্বিগুণ করেন উইসাম বেন ইয়েদের।
গ্যালতিয়ের দল প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে ২৭তম মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান মার্কিনিয়োসের চেষ্টা ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে। তবে তার আগমুহূর্তে গোল খেতে খেতেও বেঁচে যায় ফরাসিরা। দোন্নারুমার চেষ্টায় সেই যাত্রায় তাদের রক্ষা হয়। ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় পিএসজি। কার্লোস সলের বক্সের বাম দিকে পাস দেন হুয়ান বের্নাতকে। তার পাস অন্য পাশে ফাঁকায় পেয়ে মিডফিল্ডার এমেরি বল জালে পাঠান।
তবে স্বল্প ব্যবধান বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মোনাকোর অভিজ্ঞ ফরাসি স্ট্রাইকার ইয়েদের। সেই গোলেই মূলত পিএসজির কফিনে শেষ পেরেক মারার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। কেননা দ্বিতীয়ার্ধে আর সেই গোল শোধ করতে পারেনি নেইমাররা। ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টায়ও মোনাকোকে দোন্নারুমা ঠেকিয়ে দেন।
ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলেই মোনাকো নিজেদের কতটা দাপট দেখিয়েছে তার চিত্র মেলে। ১৯টি শটের মধ্যে ৯টিই ছিল গোল অভিমুখে। অন্যদিকে ৭ শটের মধ্যে মাত্র দুটি লক্ষ্যে ছিল পিএসজির।
এ নিয়ে ২৩ ম্যাচের তৃতীয় হারের স্বাদ পেল গ্যালতিয়ের দল। তবে এখনো লিগের পয়েন্ট টেবিলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ক্লাবটি। সমান ম্যাচ খেলে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মোনাকো এবং মার্সেই উঠে এসেছে তিনে।