ভারতের বিনোদন দুনিয়ায় এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রে শুধুই পাঠান। শাহরুখ খানের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবর্তন সফল। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বক্স অফিসেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ছবিটি। প্রথম দিনেই ১০০ কোটির অঙ্ক ছুঁয়েছে এই সিনেমাটি। শাহরুখের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা বলিউড।
পাঠানের মাধ্যমে পুরানো গৌরব ফিরে পেল হিন্দি ছবি। এমনিতে সারাক্ষণই বলিউডকে গালমন্দ করে চলা কঙ্গনার মুখে প্রশংসার সুর শোনা যায়। তবে একদিন যেতে না যেতেই ফের বেসুর বলিউডের ‘কুইন’। পাঠান ছবির নাম বদলের ডাক কঙ্গনার মুখে। ‘ইন্ডিয়ান পাঠান’ নামের দাবি কঙ্গনার। টুইটে লেখেন ‘পাঠান’ নয়, থাকবে শুধুই জয় শ্রীরাম।
দিন কয়েক হল টুইটারে রাজপাট ফিরে পেয়েছেন কঙ্গনা। প্রথম দু’দিন কোনো বিতর্কে না জড়ালেও ফের চেনা ছন্দে তিনি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শাহরুখের বন্ধু করণ জোহরকে খোঁচা দিলেন তিনি। পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য দেখে ‘ধর্ম প্রোডাকশন’-এর কর্ণধার বলেন, ভালবাসার জয় সবর্দা ঘৃণার উপরে হতেই বাধ্য।’
এমনিতেই করণ ও কঙ্গনার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তাই করনের মন্তব্য পাল্টা টুইট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘যারা বলছেন ঘৃণার ওপর ভালাবাসার জয় দেখিয়েছে পাঠান, তাদের সঙ্গে সহমত। কিন্তু কার ঘৃণার ওপরে ভালবাসা জিতেছে!’ প্রশ্ন রাখলেন কঙ্গনা। তিনি এই টুইটে অভিযোগ জানান, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ইতিবাচক দিক দেখানো হয়েছে।
কঙ্গনা টুইটে লেখেন, ‘যারা এ ছবির টিকিট কিনছেন, যারা ভালবাসা দেখাচ্ছেন, তারা সবাই ভারতবাসী। ভারতে ৮০ শতাংশ হিন্দুর বাস। সেখানে ছবির নাম শুধু ‘পাঠান’ কেন। নাম হওয়া উচিত ‘ইন্ডিয়ান পাঠান’। এই ছবিতে শত্রু দেশ পাকিস্তান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থার ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। ঘৃণার ওপরে গিয়ে ভারতের এই চেতনাই মহান করে তোলে।’
তবে এখানেই না থেমে কঙ্গনা আরও বলেন, ‘বক্স অফিসে যতই সাফল্য আসুক না কেন, দিনের শেষে নাম থাকবে একটাই— জয় শ্রী রাম।’