ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খেলাধুলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করে, খেলাধুলার সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ এর ৩য় আসরের ব্যাডমিন্টন ফাইনাল ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলায় যখন নিজেদের নিয়োজিত রাখে তখন নিজের ভেতর একটা আত্মতৃপ্তি কাজ করে। ভালো লাগে। যেমন ভালো লাগছে আজকের এই আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে। বিনোদন ও খেলাধুলার জায়গা যেখানে দিনে দিনে দখল দূষণের মুখে পড়ছে, সেখানে এমন একটি জমজমাট আয়োজন একটি ভিন্নবার্তা দেবে।
মেয়র আরও বলেন, মিরপুরের ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফাঁকা জায়গা প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। অথচ সেখানে এতো এতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বাসাবাড়ি। সেখানকার শিশুদের খেলার কোনো জায়গা নেই। তারা আন্দোলন করছিল মাঠের দাবিতে। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের অনশন ভাঙিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা এতো ভালোবাসেন তার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছি এই জায়গাটি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তরের জন্য। আমরা সেখানে সুন্দর মাঠ করে দেব।
মাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে আতিকুল ইসমাল বলেন, আজকে মেয়েরা খেলাধুলায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করে তুলছে। যেসব মেয়েরা ফুটবলে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তারা উন্মুক্ত জায়গায় প্র্যাকটিস করতে পেরেছিল বলে টিম তৈরি সম্ভব হয়েছে। শহরেও যদি খেলাধুলার এ রকম জায়গা পাওয়া যেত এখান থেকেও অনেক মানসম্পন্ন প্লেয়ার তৈরি হতে পারতো। জায়গার অভাবে হচ্ছে না। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও আমরা পেছনে পড়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের অনেক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় তাদের প্রতিভাগুলো তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে জাতীয় পর্যায়ের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের খেলোয়াড়রা দেশকে তুলে ধরবে। সে বিষয়ে বর্তমানে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম এম শহীদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।