ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রাহক চাহিদা বাড়াতে টেসলা তাদের কয়েকটি জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কয়েক হাজার পাউন্ড কমিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতার কারণে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছিল।
ফলে যুক্তরাজ্যে টেসলার বিভিন্ন মডেলে ১০ থেকে ১৩ শতাংশ মূল্য হ্রাস পেয়েছে। তবে কিছু মার্কিন মডেলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন ক্রেতারা এন্ট্রি লেভেল মডেল থ্রিতে ৫,৫০০ পাউন্ড এবং সবচেয়ে সস্তা মডেল ওয়াই-তে ৭,০০০ পাউন্ড সাশ্রয় করতে পারবেন।
তবে গত বছর ১৬ হাজারের বেশি গ্রাহক সর্বাধিক বিক্রিত এই মডেলের গাড়িগুলো কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই দাম কমায় বেশ ক্ষুব্ধ।
অনেকেই আবার একদিন আগেও এই মডেলের গাড়িগুলো কিনেছেন। পরদিন দাম কমে যাওয়ায় তারা ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। চীনেও গ্রাহকেরা একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সাংহাই এবং অন্যান্য শহরে টেসলা কেন্দ্রের বাইরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। টেসলা গত ছয় মাসে চীনে দুইবার দাম কমিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে এইধরনের আপত্তি এড়ানোর জন্য টেসলা জানিয়েছে, যেসব গ্রাহক অর্ডার করে এখনও ডেলিভারি পাননি তাদের কাছে নতুন দামই রাখা হবে।
তবে অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লিট প্রফেশনালসের চেয়ারম্যান পল হলিক দাম কমানোকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি তার সদস্যদের কাছে বৈদ্যুতিক যানবাহনকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক গত বছর স্বীকার করেছিলেন যে, নতুন টেসলার দাম বিব্রতজনক ভাবে বেশি ছিল। যা এর চাহিদাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
সে বছরই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে যায় ৬৫ শতাংশ। যা ২০১০ সালের পর টেসলার জন্য ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। এটি ইলন মাস্কের ভাগ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তাকে বিশ্বের সেরা ধনীর স্থান থেকে সরিয়ে দেয়।
দাম কমানোর ঘোষণার পরে টেসলার শেয়ারে আবার পতন দেখা যায়। ওয়েডবুশ বিশ্লেষক ড্যান ইভস বলেছেন, টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এই পদক্ষেপ হচ্ছে যুদ্ধের সতর্কতা। তবে এই মূল্য যুদ্ধ চালিয়ে বেশি ভালো ফল আসবে না বলে টেসলাকে পরামর্শ দেন তিনি।