ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান চিত্র নায়ক থেকে রাজপথের নায়ক হেলাল খানের দক্ষ নেতৃত্বে আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে জাসাস গাংনীর চিৎলা পাটবীজ খামার যেন জেডি মোর্শেদুলের পৈত্রিক সম্পত্তি! নওগাঁর সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে ববি ছাত্রদলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাসের পুকুরে ভেসে উঠলো জুলাই যোদ্ধার লাশ রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই : এ্যানী চৌধুরী শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করেছেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্নত স্বাস্থ্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসের যাত্রা শুরু করলো

চকরিয়ায় স্কুলছাত্র ছিনতাইয়ের শিকার থানায় এজাহার দায়ের

কক্সবাজারের চকরিয়ায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকার কারণে এসব চুরি-ছিনতাই বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষের। নিত্যদিন ঘটে চলেছে কোথাও না কোথাও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের জন্য প্রতিনিয়ত এসব করে তারা।

জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডে ছনখোলার বিল রেললাইন এলাকায় ইয়াছির মোহাম্মদ সাকিব ও মোহাম্মদ মারুফ নামের এক যুবকের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় চিহ্নিত কিছু ছিনতাইকারী। এবিষয়ে চকরিয়া থানায় একই দিনে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক বাদী হয়ে চকরিয়া থানার এজাহার দায়ের করেন।

অভিযুক্ত চিহ্নিত ছিনতাইকারী মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ আরিফ পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ইয়ার খান পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা যোগসাজশে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে জনসম্মুখে এবং ছিনতাই করে থাকে। তাদের নামে চকরিয়া থানায় একাধিক অভিযোগও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ধর্ষ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন কেউ আসলে তাদের লক্ষ্য করে ছিনতাইকারীর দল। বিশেষ করে পৌরশহরের বাঁশঘাটা সড়ক, কাঁচাবাজার সড়ক, সবুজবাগ এলাকা, হালকাকারাস্থ বটতলী, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, ফুলতলা স্টেশন, চিরিংগা স্টেশন পাড়া, সরকারি হাসপাতাল সড়ক, থানা রাস্তার মাথা, বাস টার্মিনাল, উপজেলা কলোনি, ছনখোলার বিল এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই সাধারণ মানুষদের কাছ মোবাইল-টাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি-ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চুরি-ছিনতাইয়ের স্বীকার হলেও ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে অভিযোগও করেনা। যার ফলে পুলিশও সঠিক তথ্য না পাওয়ায় ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এসব চুরি-ছিনতাইকারী চক্রের দল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন; অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা চিহিৃত করেছি। ওইসব জায়গায় প্রতিদিন পুলিশ টহল দিচ্ছে। গতকালও বেশ কিছু এলাকায় রেড দেয়া হয়েছে। কোন অবস্থাতেই চোর-ছিনতাইকারী ও ইভটিজারদের ছাড় দেয়া হবেনা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান

চকরিয়ায় স্কুলছাত্র ছিনতাইয়ের শিকার থানায় এজাহার দায়ের

আপডেট সময় ১০:৫২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়ায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকার কারণে এসব চুরি-ছিনতাই বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষের। নিত্যদিন ঘটে চলেছে কোথাও না কোথাও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের জন্য প্রতিনিয়ত এসব করে তারা।

জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডে ছনখোলার বিল রেললাইন এলাকায় ইয়াছির মোহাম্মদ সাকিব ও মোহাম্মদ মারুফ নামের এক যুবকের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় চিহ্নিত কিছু ছিনতাইকারী। এবিষয়ে চকরিয়া থানায় একই দিনে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক বাদী হয়ে চকরিয়া থানার এজাহার দায়ের করেন।

অভিযুক্ত চিহ্নিত ছিনতাইকারী মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ আরিফ পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ইয়ার খান পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা যোগসাজশে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে জনসম্মুখে এবং ছিনতাই করে থাকে। তাদের নামে চকরিয়া থানায় একাধিক অভিযোগও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ধর্ষ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন কেউ আসলে তাদের লক্ষ্য করে ছিনতাইকারীর দল। বিশেষ করে পৌরশহরের বাঁশঘাটা সড়ক, কাঁচাবাজার সড়ক, সবুজবাগ এলাকা, হালকাকারাস্থ বটতলী, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, ফুলতলা স্টেশন, চিরিংগা স্টেশন পাড়া, সরকারি হাসপাতাল সড়ক, থানা রাস্তার মাথা, বাস টার্মিনাল, উপজেলা কলোনি, ছনখোলার বিল এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই সাধারণ মানুষদের কাছ মোবাইল-টাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি-ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চুরি-ছিনতাইয়ের স্বীকার হলেও ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে অভিযোগও করেনা। যার ফলে পুলিশও সঠিক তথ্য না পাওয়ায় ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এসব চুরি-ছিনতাইকারী চক্রের দল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন; অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা চিহিৃত করেছি। ওইসব জায়গায় প্রতিদিন পুলিশ টহল দিচ্ছে। গতকালও বেশ কিছু এলাকায় রেড দেয়া হয়েছে। কোন অবস্থাতেই চোর-ছিনতাইকারী ও ইভটিজারদের ছাড় দেয়া হবেনা।