মুক্তির প্রথম দিন থেকেই আলোচনায় টলিউড সুপারস্টার দেব অভিনীত ও প্রযোজিত সিনেমা ‘প্রজাপতি’। বক্স অফিসে রীতিমতো পাখা মেলে উড়ছে প্রজাপতি। সমানতালে আলোচনা-সমালোচনাও চলছে— নেপথ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির দ্বৈরথ। দেব তৃণমূলের সাংসদ হলেও বিপরীতে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আপাতত ‘প্রজাপতি’ ইস্যুতে গরম রাজ্য-রাজনীতি। এই গরমের মধ্যেই ফের মিঠুনের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন দেব। তৃণমূলের সাংসদ দেবের ছবিতে বিজেপির মিঠুনকে মেনে নিতে পারেননি দলের অন্দরের অনেকেই। এমনকি নন্দনেও জায়গা হয়নি এই সিনেমার। যা নিয়ে দেব নিজে তো মুখ খুলেছেনই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ আর কুণাল ঘোষও।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় দেব ফের মিঠুনের সঙ্গে ছবি দিলেন। ছবিতে দেখা গেল পার্টি থেকে যেন মিঠুনকে টেনে বাইরে নিয়ে আসছেন দেব। আর ক্যাপশনে নিজস্ব ঢঙে লিখলেন, ‘এমনি’। আসলে দেব বরাবরই দাবি করে এসেছেন, মিঠুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক রাজনীতির ময়দানের বাইরে। মিঠুন তার বাড়িতে আসেন। একসময় মিঠুনের ছবির সেটে খাবার সরবরাহ করতেন মিঠুনের বাবা। সেই থেকে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক।
দেবের পোস্ট করা এই ছবির নিচে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন তার অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ‘এই ছবি দিয়ে তুমি কিছু না বলেও অনেক কিছু বলে দিলে দেবদা। তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ আরেকজন লিখলেন, ‘মহাগুরু আর গুরুদেব’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘তৃণমূলের অশিক্ষিতদের মুখে সপাটে জবাব এই ছবি। রাজনীতি যে পরিষ্কার মন নিয়ে করা যায় তার প্রমাণ তুমিই।’
প্রসঙ্গত, প্রথম দশ দিনে দেশের বক্স অফিসে সবমিলিয়ে ৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে নিয়েছে ‘প্রজাপতি’। ১ জানুয়ারি এই ছবির আয় ছিল ১ কোটির বেশি যা ভেঙে দিয়েছে টলিউড বক্স অফিসের পুরোনো সব রেকর্ড। পরিচালক অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপতি’তে বাবা-ছেলের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিঠুন ও দেবকে। এই ছবিতে দেখা মিলেছে মমতা শঙ্কর, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শ্বেতা ভট্টাচার্য, কৌশানি মুখোপাধ্যায়েরও।