আজকাল সব ব্যাংকই এটিএম কার্ড ও ডেবিট কার্ড ইস্যু করে থাকে। ফলে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনেই লেনদেন করা যায়। ভারতের সাইবার অপরাধের পরিসংখ্যান বলছে, এটিএম-এর ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রুত বাড়ছে এটিএম জালিয়াতির সংখ্যা।
সময়ের সাথে সাথে সাইবার প্রতারকরা এখন এটিএম কার্ডের ক্লোনিং শুরু করেছে। অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে এটিএম মেশিনে কিছু পরিবর্তন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া খুবই সহজ। যার ফলে নিঃস্ব হতে পারে গ্রাহকরা।
দেশ-বিদেশে গত কয়েক বছরে দ্রুত হারেই বেড়েছে এটিএম কার্ডের ব্যবহার। আজকাল গ্রাহকরা ব্যাংকে লাইন না ধরে এটিএম থেকেই টাকা তুলতে বেশি পছন্দ করে। তবে অনেক সাইবার অপরাধী এটিএম মেশিনে বিভিন্ন ধরণের ক্যামেরা লুকিয়ে রাখে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের কার্ড নম্বর ও পাসওয়ার্ড সম্পর্কিত তথ্য জেনে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। একটি বিশেষ ধরণের ডিভাইস ইনস্টল করে কার্ড ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় তারা।
তবে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নির্দিষ্ট সময়ে-সময়ে পিন পরিবর্তন করা যেতে পারে। পাশাপাশি এটিএম থেকে টাকা তোলার সীমাও সেট করে নেওয়া যেতে পারে। ফলে প্রতারকরা এটিএম ক্লোনিং করলেও সীমিত পরিমাণ টাকা তুলতে পারবে। এছাড়া কেউ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলে নোটিফিকেশন পৌঁছানোর মাধ্যমে গ্রাহকরা আগ থেকেই সতর্ক হতে পারবে। এটিএম কার্ডের ক্লোনিং এড়াতে এটিএম মেশিনে কার্ড ঢোকানোর আগেই মেশিন ও পাশের জায়গাটি পরীক্ষা করে নেওয়া উত্তম। এছাড়াও কিপ্যাডের ওপরের অংশটিও দেখে নেওয়া জরুরি।
মনে করে কিপ্যাডে পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময় হাত দিয়ে তা লুকিয়ে নেওয়া উচিত। এর ফলে অন্য কেউ গ্রাহকের পাসওয়ার্ড দেখতে পারবে না। এর পাশাপাশি ম্যাগনেটিক কার্ডের পরিবর্তে ইএমভি চিপের এটিএম কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাংকে অবিলম্বে এ কার্ডের জন্য আবেদন করে কার্ডের ক্লোন করা রোধ করা সম্ভব। POC মেশিন শপিং মলে OTP ছাড়াই লেনদেন হয়। তাই ব্যাঙ্কে একটি সুরক্ষিত কার্ড নিয়ে কেবল OTP-র মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে।