প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী কে সুলভ মূল্যে গাড়ি ক্রয় অথবা ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ঘটনার আসামি গ্রেফতার ও ০২ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা, তেজগাঁও বিভাগ উক্ত বিষয়ে ব্রিফ করেছেন জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা ডিএমপি ঢাকা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রেন্ট-এ-কার ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারণার দায়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাকির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে। গত ২১/০৯/২০২২ খ্রি: তারিখ কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানা এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত হতে ২টি মাইক্রো বাস উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ জাকির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন ২নং মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান । উল্লেখ্য, গত ০৭/০৯/২০২২ইং তারিখ রাজধানীর মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়। মামলাটি গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত জাকির চেয়ারম্যান পোর্ট থেকে স্বল্প দামে গাড়ী ক্রয় করে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয় এবং ক্রয়কৃত গাড়ী রেন্ট এ কারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করার জন্য চুক্তি করে। একই গাড়ী এভাবে একাধিক ব্যক্তির সাথে ভূয়া কাগজপত্র দ্বারা চুক্তি সম্পাদন করে।
একই রেজিস্টেশন নাম্বার সম্বলিত গাড়ী একাধিক জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় করে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে শুধু ইঞ্জিন নাম্বার দিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে কিছুদিন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে পরবর্তীতে কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে ।
উদ্দারকৃত গাড়ী
এছাড়াও পূর্বের বিক্রয়কৃত গাড়ী স্বল্প মূল্যে মালিকানা হস্তান্তরের লোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত জাকির চেয়ারম্যান প্রতারিত ভিকটিমদের কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে সে ডাউন পেমেন্টে গাড়ী কিনতো। আবার ব্যাংক থেকে গাড়ীর বিপরীতে কাস্টমারকে না জানিয়ে ব্যাংক লোন সুবিধা নিতো। দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৩০০ ভিকটিমের সাথে সে এরূপ প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা তেজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ গোলাম সবুর, পিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এবং তেজগাঁও জোনাল টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ শাহাদত হোসেন সুমা, বিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।