ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা  মিঠাপুকুরে এমপিএইসভিওয়ের ১১তম বর্ষে পদার্পন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মঠবাড়িয়া আসনে লড়তে চান ক্যানাডা প্রবাসী ব্যারিস্টার আলমগীর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফসলের সাথে শত্রুতা, ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ ইসলামী দলগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর উচাই কৃষি কলেজে নবীন-বরণ জাফলং পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২৪ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত নাটোরের বড়াইগ্রাম সময় টিভির অফিশিয়াল স্টাফ রিপোর্টার এর বাড়িতে আগুনে লেগে এক শিশুর মৃত্যু

যৌনশক্তি বাড়ানোর বড়ি খাইয়ে লুটপাট

বাসে উঠে যৌনশক্তি বাড়ানোর বড়ি বিক্রির নামে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেওয়া একটি চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার করেছে। 

এ চক্রের ফাঁদে পড়ে ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর তিনজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তারা বের করে আনে চক্রটির অপরাধ সংঘটনের পুরো প্রক্রিয়া। চক্রের সদস্য প্রথমে বাসে উঠে একজনকে টার্গেট করে। তাকে যৌন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বই পড়ানোর ফাঁকে একটা বড়ি খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিশ্বাস অর্জন করতে প্রথমে নিজেদের লোক একটা বড়ি খেয়ে ফেলেন। এরপর টার্গেট করা ব্যক্তি ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে চক্রের সদস্যরা ঘিরে ধরেন। টাকা-মোবাইল নিয়ে গাড়ি থেকে সবাই নেমে পড়েন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সর্বস্ব লুট করে আসছিল চক্রটি। চক্রের সদস্যদের এরকম টোপ গিলে বড়ি খেয়েছিলেন ৫৪ বয়সী এক ব্যক্তি। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার সাথে জড়িত তিন সদস্যকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইব্রাহিমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ফেনী ছাগলনাইয়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। হালিশহর ও পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন, অভিনব কায়দায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত চক্রটি। তাদের দলে চারজন আছে। তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। চক্রের সদস্যরা কয়েক প্রকার ওষুধের মিশ্রণে চেতনানাশক বড়ি বানাতেন। এগুলোকে যৌন উত্তেজক বড়ি বলে কৌশলে বাসযাত্রীদের খাওয়ানো হতো। এরপর সবকিছু নিয়ে অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নামতো।

এই চক্রের ফাঁদে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, হত্যা মামলাটি ক্লুলেস ছিল। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করেছি। পাশাপাশি চক্রটির আদ্যোপান্ত বের করে এনেছি। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা 

যৌনশক্তি বাড়ানোর বড়ি খাইয়ে লুটপাট

আপডেট সময় ০৫:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

বাসে উঠে যৌনশক্তি বাড়ানোর বড়ি বিক্রির নামে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেওয়া একটি চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার করেছে। 

এ চক্রের ফাঁদে পড়ে ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর তিনজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তারা বের করে আনে চক্রটির অপরাধ সংঘটনের পুরো প্রক্রিয়া। চক্রের সদস্য প্রথমে বাসে উঠে একজনকে টার্গেট করে। তাকে যৌন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বই পড়ানোর ফাঁকে একটা বড়ি খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিশ্বাস অর্জন করতে প্রথমে নিজেদের লোক একটা বড়ি খেয়ে ফেলেন। এরপর টার্গেট করা ব্যক্তি ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে চক্রের সদস্যরা ঘিরে ধরেন। টাকা-মোবাইল নিয়ে গাড়ি থেকে সবাই নেমে পড়েন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সর্বস্ব লুট করে আসছিল চক্রটি। চক্রের সদস্যদের এরকম টোপ গিলে বড়ি খেয়েছিলেন ৫৪ বয়সী এক ব্যক্তি। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার সাথে জড়িত তিন সদস্যকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইব্রাহিমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ফেনী ছাগলনাইয়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। হালিশহর ও পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন, অভিনব কায়দায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত চক্রটি। তাদের দলে চারজন আছে। তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। চক্রের সদস্যরা কয়েক প্রকার ওষুধের মিশ্রণে চেতনানাশক বড়ি বানাতেন। এগুলোকে যৌন উত্তেজক বড়ি বলে কৌশলে বাসযাত্রীদের খাওয়ানো হতো। এরপর সবকিছু নিয়ে অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নামতো।

এই চক্রের ফাঁদে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, হত্যা মামলাটি ক্লুলেস ছিল। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করেছি। পাশাপাশি চক্রটির আদ্যোপান্ত বের করে এনেছি। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।