নাটোর শহরে হাফরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজন ধর্ষক ও দুইজন সহযোগী সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়া বাসায় এঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান।
এছাড়া এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতার অভিযোগে শহরের হাফরাস্তা থেকে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীন কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আরডিএ মার্কেটের কর্মচারী আবির হোসেন (২১) তার এসএসসি পরিক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোরের হরিশপুর এলাকার বন্ধু মুহিনের বাসায় আসেন। পরে মুহিন বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। ওই দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে সেখানে ডেকে নিয়ে আসে ।
এ সময় তারা দলবদ্ধভাবে ওই ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে তারা। টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ধর্ষিতা এবং তাঁর প্রেমিক ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। ঘটনার খবরে সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হন নাটোর থানা পুলিশ । মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুল কে শহরের হাফরাস্তা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে পুলিশ। বাঁকি জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নাটোর সদর থানার এসআই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি।
ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়। তিন র্ধষক শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী , চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের অটক করা হয়েছে । মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।