রংপুরের বদরগঞ্জে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ নম্বর মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক লাভলু সরকার নিহত হন। এঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল ) সকালে নিহত বিএনপি’র নেতা লাভলু সরকারের ছেলে রায়হান কবীর বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সুত্র জানাযায়,বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক ওরফে মানিক (৫০), চেয়ারম্যানের ছেলে তানভীর আহম্মেদ ওরফে তমাল (৩২), বদরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সারোয়ার জাহান ওরফে মানিক (৫৫),জাহিদুল হক সহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন উপজেলার ১০ নম্বর মধুপুর ইউপির রাজারামপুর পাইটকাপাড়া গ্রামের মো. মোরসালিন (৩১) ও বদরগঞ্জ পৌরসভার চাঁদকুঠিরডাঙ্গা মহল্লার হাবিবুর রহমান মন্ডল ওরফে হৃদয় (১৯)। গতকাল রোববার রাতে তাঁদের নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের পাশে ইশতিয়াক হোসেনের একটি দোকানঘর রয়েছে। জাহিদুল হক নামের এক ব্যক্তি দোকানটি ভাড়া নিয়ে সেখানে ঢেউটিনের ব্যবসা করে আসছিলেন।
এই দোকানকে কেন্দ্র করে ইশতিয়াক হোসেন ওরফে বাবুর সঙ্গে ভাড়াটে জাহিদুল হকের লোকজনের মধ্যে ৪ এপ্রিল পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এরপর দোকানটি তালাবদ্ধ ছিল। গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির নেতা লাভলু সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ইশতিয়াক বাবু শহীদ মিনারের পাশে যান। তখন আসামিরা ছোরা, রামদা, হাসুয়া, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে মাথায় ছুরিকাঘাতে লাভলু সরকার মারা যান।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মোরসালিন এজাহারনামীয় আসামি এবং হাবিবুর রহমান মন্ডলকে ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার কৃত দুইজনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার এর জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছেন । তিনি আরো বলেন, বাকী আসামীদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবো।