গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। মানবতাবিরোধী এই সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে তারা গাজার নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের হাতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ কোনো দ্বন্দ্ব নয়, এটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় গণহত্যা। তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরবতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বজনমতকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন,
“ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহ এক না হলে এর জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। ইসরায়েল ও আমেরিকার পণ্য বয়কট করুন, তাদের অর্থনীতি ভেঙে দিন। অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হলে তারা যুদ্ধ চালাতে পারবে না। আমাদের ঈমানি শক্তি নিয়ে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, মসজিদুল আকসা বিজয় হবেই হবে।”
শিক্ষার্থীরাও দাবি করেন, এই গণহত্যা বন্ধে শুধু ইসরায়েল নয়, নীরব আন্তর্জাতিক সমাজও দায় এড়াতে পারে না।
তারা বলেন, “ফিলিস্তিনের শিশুরা আমাদেরই সন্তান। গাজায় যা ঘটছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ।”
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যেমন— ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনের শিশুরা, আমাদের সন্তান’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্তর্জাতিক ‘The World Stops for Gaza’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল, সোমবার তাঁরা সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। ক্লাস, পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন না। এই দিনটিকে তারা “প্রতিরোধের দিন” হিসেবে পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
বিশ্বের নানা প্রান্তে যখন সচেতন মানুষ গাজার পক্ষে সোচ্চার, তখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছেন—
“নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত। “