অভিজ্ঞ সব খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে তরুণ এক দলও নিয়ে বিশ্বকাপে পা রেখেছিল স্পেন। প্রথম ম্যাচেই কোচ লুই এনরিকের সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন ফেররান তরেস-গাভিরা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে স্প্যানিশরা। গোলবন্যার দিনে একটিও গোল পাননি জর্দি আলবা। তবে ম্যাচ মেকিংয়ে অবদান রেখে দলের জয়ের বড় নায়ক তিনিই।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বুধবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয়েছে স্পেন। রেকর্ড গড়া জয়ের দিনে স্প্যানিশদের হয়ে এদিন গোল করেছেন ৬ জন। জোড়া গোল করেছেন ফেররান তরেস। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন দানি ওলমো, মার্কো আসেনসিও, গাভি, কার্লোস সলের ও মোরাতা।
ম্যাচের শুরু থেকেই সুন্দর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসেছিল এনরিকের স্পেন। কীভাবে জায়গা বের করে নেওয়া যায়, তারই যেন উদাহরণ ছিল পেদ্রি, গাভি, ওলমোদের একেকটি মুভ। মাঠমাঠ ও রক্ষণভাগ থেকে দুর্দান্ত সব পাসে তাদের এই কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন জর্দি আলবা।
ম্যাচের প্রয়োজনে প্রায়ই রক্ষণভাগ ছেড়ে মাঝমাঠে খেলেছেন আলবা। গোল না পেলেও কয়েকটি গোলে ছিল পরোক্ষ অবদান। এছাড়া ২১ তম মিনিটে আসেনসিওর করা গোলে তো প্রত্যক্ষ অবদানটা তারই। মাঝমাঠের বাঁ দিকে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়ে যান আলাবা। চ্যালেঞ্জ জানাতেও গেলেন না কোস্টারিকার কেউ। অনেক সময় পাওয়ায় সুযোগটা কাজে লাগালেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। দেখেশুনে ডি-বক্সে খুঁজে নিলেন আসেনসিওকে। তার শটে হাত ছোঁয়ালেও জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি কোস্টা রিকা গোলরক্ষক।
ম্যাচের পুরোটা সময় বাঁ দিকের রক্ষণ থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ পর্যন্ত কভার করেছেন আলাবা। ১টি ক্লিয়ারেন্সের পাশাপাশি একটি ট্যাকেল ও দুটি ইন্টারসেপশনে কোস্টারিকাকে এগতেই দেননি স্পেনের গোলবারের দিকে। এছাড়া পাস অ্যাকুরেসিও ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো ম্যাচে ১০৭টি পাসের মধ্যে ১০১টিই ঠিকঠাকভাবে দিয়েছেন আলাবা। আর তাতেই দুদলের শক্তির পার্থক্যটা বড় করে ধরা পড়েছে সবার সামনে।