পুরো ম্যাচজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছে কানাডা। র্যাংকিংয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা বেলজিয়ামের বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ করে রীতিমতো চমকে দিয়েছে দলটি। কিন্তু সেই দলটাকেই শেষমেষ হার মানতে হয়েছে এক গোলের ব্যবধানে। কারণ গোলমুখে বেলজিয়ামের এক নায়ক ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
থিবো কোর্তোয়া, বেলজিয়ামের এ গোলরক্ষক ক্লাব পর্যায়ে খেলেন স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। গত মৌসুমেই তার দলকে জিতিয়েছেন ইউরোপ সেরার শিরোপা। অবশ্য স্বীকৃতিও মিলেছে তার, বছর না ঘুরতেই তার হাতে উঠেছে সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার। ক্লাব পর্যায়ে দুর্দান্ত উড়ন্ত ফর্মে থাকা এ গোলরক্ষক এবার জাতীয় দলের হয়েও দেখালেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিরোধ, লজ্জাজনক হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে দলকে এনে দিলেন জয়ের স্বাদ।
কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে কানাডার মুখোমুখি হয়েছে বেলজিয়াম। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দুই নম্বর অবস্থানে থাকা দলটি কানাডার বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেবে এটাই ছিল অনুমিত ফলাফল। জয়টা বেলজিয়াম পেলোও। কিন্তু সেটা অর্জন শুধু সহজই না, অনেকটা দুঃসাধ্য মনে হয়েছে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে কানাডা। বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে ব্যাপক এগিয়ে ছিল জন হের্ডম্যানের শিষ্যরা। শুধু তাই নয়, প্রথম বিশ মিনিট একের পর এক আক্রমণে বেলজিয়াম রক্ষণে রীতিমতো ভীতি ছড়াচ্ছিল আমেরিকার দলটি। পুরো ম্যাচজুড়েই ছিল তার রেশ। তবুও একটি গোল আদায় করতে পারেনি আমেরিকার দলটি। বলতে গেলে এই কৃতিত্ব পুরোটাই কোর্তোয়ার।
ভালো খেলার ফলস্বরূপ ম্যাচের দশম মিনিটেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়ে যায় কানাডা। কারাসকোর করা হ্যান্ডবল রেফারি্র চোখ এড়িয়ে গেলেও ভিএআর দেয় পেনাল্টি। কিন্তু আলফানসো ডেভিসের স্পটকিক বাঁ দিকে লাফিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। নিশ্চিত গোলের সুযোগ হারায় কানাডা। আমেরিকার দলটি এরপরও সুযোগ পেয়েছিল বেশ কয়েকটা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব আর কোর্তোয়ার দেয়াল একটি সম্ভাবনাকেও বাস্তবে রূপ দিতে দেয়নি।
পুরো ম্যাচজুড়ে কানাডার তিনটি দুর্দান্ত গোলের সুযোগ ব্যর্থ করে দিয়েছেন কোর্তোয়া। এছাড়া পাস অ্যাকুরেসিও ছিল চোখে পড়ার মতো। চাপের মধ্যে থেকে ৪৮টি পাসের ৩৮টিই ঠিকঠাক ডেলিভার করেছেন তিনি। আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। ৪৪তম মিনিটে বাতসুয়াইর একমাত্র গোলে ম্যাচটা কোনোরকমে জিতে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।