ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

৬ মিনিটেই মোবাইল ফোনের নেশা কাটবে, কীভাবে?

আপনার মোবাইল ফোন ধরে বসে থাকাটা আজকাল আর অভ্যাস নয়, রীতিমতো ‘খারাপ অভ্যাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তরই বা কোথায়— অচেনা এলাকা চিনতে হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, অফিসের প্রজেক্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক কিংবা সিনেমা দেখা— সবই তো করতে হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

আমাদের সামাজিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে সরে আসার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে— মোবাইল ফোনে আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি থেকে শরীর ও মেধার ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় চিকিৎসকরাও মোবাইল আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিজিটাল সমাজের রাশ হাতে রেখেও কীভাবে আসক্তির মুশকিল আসান হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডি অবশ্য বলেছেন, সমাধান মিলেছে। একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে সেই ‘কার্যকরী’ উপায়। যার সাহায্যে মাত্র ৬ মিনিটেই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লেখিকা লিজ। আবার তার নিজস্ব পডকাস্টের চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলেই তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। লিজ বলেছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে— মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, পড়ার অভ্যাস মনকে হালকা করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসার আগে বই পড়ার অভ্য়াস ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাস অধিকাংশই মানুষ ভুলতে বসেছেন। গবেষণার কথা মেনে দিনের একটা সময় মোবাইল ফোন থেকে ৬ মিনিটের জন্য চোখ সরালে চাপমুক্তির পাশাপাশি আরও একটা ভালো কাজ হবে। মন একমুখী বা বলা ভালো— ফোনমুখী না হয়ে অন্য পথে চালিত হবে। আর কে বলতে পারে, মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পড়ার অভ্যাস হয়তো আমাদের মোবাইল আসক্তিকেও দূর করবে।

লিজ যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণা করা হয়েছিল সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা কগনিটিভ নিউরোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক ডেভিড লুইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। পরে সেই গবেষণা বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি প্রসঙ্গে ডেভিড অবশ্য বলেছিলেন—বই পড়লে যে আমাদের মন অন্য পথে চালিত হয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো— সাদা পাতায় ছাপার অক্ষরগুলো আমাদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে জুড়ে আমাদের মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতাকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

৬ মিনিটেই মোবাইল ফোনের নেশা কাটবে, কীভাবে?

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

আপনার মোবাইল ফোন ধরে বসে থাকাটা আজকাল আর অভ্যাস নয়, রীতিমতো ‘খারাপ অভ্যাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তরই বা কোথায়— অচেনা এলাকা চিনতে হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, অফিসের প্রজেক্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক কিংবা সিনেমা দেখা— সবই তো করতে হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

আমাদের সামাজিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে সরে আসার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে— মোবাইল ফোনে আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি থেকে শরীর ও মেধার ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় চিকিৎসকরাও মোবাইল আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিজিটাল সমাজের রাশ হাতে রেখেও কীভাবে আসক্তির মুশকিল আসান হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডি অবশ্য বলেছেন, সমাধান মিলেছে। একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে সেই ‘কার্যকরী’ উপায়। যার সাহায্যে মাত্র ৬ মিনিটেই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লেখিকা লিজ। আবার তার নিজস্ব পডকাস্টের চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলেই তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। লিজ বলেছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে— মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, পড়ার অভ্যাস মনকে হালকা করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসার আগে বই পড়ার অভ্য়াস ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাস অধিকাংশই মানুষ ভুলতে বসেছেন। গবেষণার কথা মেনে দিনের একটা সময় মোবাইল ফোন থেকে ৬ মিনিটের জন্য চোখ সরালে চাপমুক্তির পাশাপাশি আরও একটা ভালো কাজ হবে। মন একমুখী বা বলা ভালো— ফোনমুখী না হয়ে অন্য পথে চালিত হবে। আর কে বলতে পারে, মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পড়ার অভ্যাস হয়তো আমাদের মোবাইল আসক্তিকেও দূর করবে।

লিজ যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণা করা হয়েছিল সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা কগনিটিভ নিউরোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক ডেভিড লুইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। পরে সেই গবেষণা বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি প্রসঙ্গে ডেভিড অবশ্য বলেছিলেন—বই পড়লে যে আমাদের মন অন্য পথে চালিত হয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো— সাদা পাতায় ছাপার অক্ষরগুলো আমাদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে জুড়ে আমাদের মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতাকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।