গত তিন মাস আগে (উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টর, ৭ নম্বর রোড, হাউজ ২৯, গ্র্যান্ড প্লাজা হোটেল), উত্তরার এক হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সোহেল নামের এক ব্যক্তি। কিছুদিন কাজ করার পর, হঠাৎ এক রাতে চলে পুলিশি অভিযান।
অভিযান পরিচালনা করেন উত্তরা থানার এস, আই, সাঈদ রাত দশটা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত অভিযান চলে হোটেলে। অভিযান চলাকালীন সময়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ৮ জন মহিলা যৌনকর্মী ও ৭ জন খদ্দের কে। উদ্ধার করা হয় বিদেশি মদ, বিয়ার, এবং অন্যান্য মাদক দ্রব্য।
মাদকদ্রব্য সহ সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরা থানায়। হোটেল কর্মচারী সোহেল জানান, গত কয়েক মাস
আগে এই হোটেলের শুধু চার তলায় দেহ ব্যবসা হইতো, এই অভিযানের পর থেকে তারা গায়েবী শক্তির মাধ্যমে সকল কিছু ম্যানেজ করে ফেলে এবং চার তলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত দেহ ব্যবসা শুরু করে। ভুক্তভোগী হোটেল কর্মচারী সোহেল বলেন আমি হোটেলে কাজ করতে গিয়ে যখন বুঝতে পারি প্রতিতা বৃত্তির ব্যবসা হচ্ছে তখন মানসম্মানের ভয়ে,
কাজ করতে চাইনি। ম্যানেজারকে বলছি আমার পাওনা বেতন দিয়ে দেন আমি এখানে কাজ করবো না।
তখন ম্যানেজার সোহেল বলে তুই চলে যা তোকে এক টাকাও দেওয়া হবে না। তখন আমি একটু রাগ দেখাই আর আমি বলি আপনি ইচ্ছা করলেই কারো টাকা মারতে পারবেন না, তখন ম্যানাজার রেগে গিয়ে বলে তুই কিছুই করতে পারবি না, আমার হোটেলের মালিকের এমন ক্ষমতা আছে তোকে সোজা করতে একটু সময়ও লাগবে না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে চুরির মামলা দিয়ে দিব। আমার হোটেলের মালিকের ভাই সেনাবাহিনীর মেজর। আমাদের মালিকের সরকারের বড় বড় দপ্তরে হাত আছে, অনেক ক্ষমতাশালী শক্তিধর মানুষ আমার হোটেলের মালিক। আমি একাধিকবার ফোনে আমার পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দেই এবং সরাসরি হোটেলেও যাই কিন্তু আমার টাকা নাদিয়ে। আমাকে হয়রানি করার জন্য বারবার তারিখ দেয়। গত কিছুদিন আগে আমার এক সাংবাদিক ভাইকে নিয়ে যাই, তখন সে রেগে আমাকে বলে তোর সাংবাদিক কি টাকা উদ্ধার করে দিবে যা তুই পারলে টাকা উদ্ধার করে নিস বলে অনেক খারাপ ব্যবহার করে।
উত্তরার গ্র্যান্ড প্লাজা হোটেলে প্রতিতা ব্যবসার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান সাহেবের কাছে জানতে চাইলে,
তিনি বলেন আমি নিজে উপস্থিত থেকে গত কিছুদিন আগে গ্র্যান্ড প্লাজা হোটেলে
অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে আনি এবং মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করি। যার চার্জশিট এখনো দেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরায় ৯ নম্বর সেক্টর, ৭ নম্বর রোড, হাউজ ২৯,স্বনামধন্য গ্র্যান্ড প্লাজা আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেখা ব্যবসা,
অভিযোগে উঠেছে সেনা অফিসারদের নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেল শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ।
- সংবাদদাতা মানিক
- আপডেট সময় ০৮:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
- ৫০৪ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ