ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্বশুরবাড়িতে শখ করে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গ্রেফতার!! আরও দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক এমপি আসাদকে এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ১০ এপ্রিল শিবগঞ্জে ভারতীয় ৩৯৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি। নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (টাউন হাইস্কুল) থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল উদ্ধার মিঠাপুকুর উপজেলায় ৭৬ তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত সার্ক আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা অনুত্তীর্ণ চিকিৎসকদের বিক্ষোভ, বিএসএমএমইউ ভিসি অবরুদ্ধ রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত ৫ তিন দিন পেরিয়ে গেলেও হয়নী থানায় মামলা রেকর্ড

বৃত্তিসহ জবির ৭শ শিক্ষার্থীর অস্থায়ী আবাসন দেবে আস-সুন্নাহ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিসহ অস্থায়ীভিত্তিতে আবাসনের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর  করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর উপস্থিতিতে এ চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সমঝোতা স্মারকের তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭শ শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা তীরে বসুন্ধরা রিভার ভিউয়ে এ আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

আবাসন প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল, দারিদ্র্যতা, পারিবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ১০০ শতাংশ, ৭৫ শতাংশ, ৫০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। অস্থায়ী আবাসনে উন্নতমানের লাইব্রেরি সুবিধা ও কম্পিউটার ল্যাব থাকবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসের ব্যবস্থা ও নানা ধরনের সফট স্কিলের অর্জনের জন্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ কোর্স সুবিধা দেওয়া হবে।

এ আবাসনের যাবতীয় ব্যয় আস-সুন্নাহ বহন করবে। তবে অস্থায়ী আবাসন থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের পরিবহণ ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে আমরাও এ রকমের একটি প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। এ কারণে আমাদের দুইপক্ষের চাওয়া মিলে যাওয়ার আজ আমাদের কার্যক্রম এ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে। আমরা চাই, এই হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা রাখি।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাত্র ৭০০ শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার এ যাত্রা আমরা ৫ হাজারে উন্নীত করতে চাই। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট সমাধানে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করার পরই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করা। সেই সংকট নিরসনে আমরা প্রাথমিক অবস্থায় অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম আজ থেকে এক মাস পূর্বে। ওই কমিটি গঠন করার পর থেকেই কমিটির সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভবন খুঁজতে থাকে। একই সঙ্গে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ; এক মাস আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সেজন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।

উপাচার্য বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আবাসনের জন্য কাজ চলমান। আশা করি, খুব শিগগিরই অনেক বড় একটি সুসংবাদ দিতে পারব শিক্ষার্থীদের। আজকে এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আস-সুন্নাহ এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের যে যাত্রা শুরু হলো এ ধারা আমাদের অব্যাহত থাকবে বলে আশা রাখি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্বশুরবাড়িতে শখ করে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক

বৃত্তিসহ জবির ৭শ শিক্ষার্থীর অস্থায়ী আবাসন দেবে আস-সুন্নাহ

আপডেট সময় ০৮:৫০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিসহ অস্থায়ীভিত্তিতে আবাসনের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর  করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর উপস্থিতিতে এ চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সমঝোতা স্মারকের তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭শ শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা তীরে বসুন্ধরা রিভার ভিউয়ে এ আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

আবাসন প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল, দারিদ্র্যতা, পারিবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ১০০ শতাংশ, ৭৫ শতাংশ, ৫০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। অস্থায়ী আবাসনে উন্নতমানের লাইব্রেরি সুবিধা ও কম্পিউটার ল্যাব থাকবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসের ব্যবস্থা ও নানা ধরনের সফট স্কিলের অর্জনের জন্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ কোর্স সুবিধা দেওয়া হবে।

এ আবাসনের যাবতীয় ব্যয় আস-সুন্নাহ বহন করবে। তবে অস্থায়ী আবাসন থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের পরিবহণ ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে আমরাও এ রকমের একটি প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। এ কারণে আমাদের দুইপক্ষের চাওয়া মিলে যাওয়ার আজ আমাদের কার্যক্রম এ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে। আমরা চাই, এই হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা রাখি।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাত্র ৭০০ শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার এ যাত্রা আমরা ৫ হাজারে উন্নীত করতে চাই। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট সমাধানে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করার পরই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করা। সেই সংকট নিরসনে আমরা প্রাথমিক অবস্থায় অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম আজ থেকে এক মাস পূর্বে। ওই কমিটি গঠন করার পর থেকেই কমিটির সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভবন খুঁজতে থাকে। একই সঙ্গে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ; এক মাস আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সেজন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।

উপাচার্য বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আবাসনের জন্য কাজ চলমান। আশা করি, খুব শিগগিরই অনেক বড় একটি সুসংবাদ দিতে পারব শিক্ষার্থীদের। আজকে এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আস-সুন্নাহ এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের যে যাত্রা শুরু হলো এ ধারা আমাদের অব্যাহত থাকবে বলে আশা রাখি।