রংপুরের মিঠাপুকুরের রাণীপুকুর ইউনিয়নের আজিতপাড়া গ্রামে জমিজমার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানাগিয়াছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ জমশেদ আলী মিঠাপুকুর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের আজিতপাড়া গ্রামে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১ টার সময় মোতালেব মিয়ার পুত্র জমশেদ আলীকে দেশীয় লাঠি-সোটা ও লোহার রড, ছোরা হত্যা ও চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করার জন্য মারে।
উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া উপরোক্ত বিবাদীরা প্রায় সময় আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে। উপরোক্ত বিবাদীরা আজ হইতে অনুমান ২/৩ মাস পূর্বে আমাদের একটি জমির কিছু গাছ ভাংচুর করিয়া ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে আমি ও আমার বাড়ীর লোকজন বিষয়টি স্থানীয় লোকজনদের জানাইয়া নিজ নিজ অবস্থানে বসবাস করিতে থাকি। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন ইং
১০/১২/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় আমি স্থানীয় দোকানে চা খাইয়া নিজ বাড়ীতে আসার পথে বিবাদীদের বসত বাড়ীর সামনে রাস্তায় পৌঁছামাত্র উপরোক্ত বিবাদীরা আমাকে দেখিতে পাইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে
লাঠি-সোটা, লোহার রড, ছোরা ইত্যাদি লইয়া আমার সামনে আসিয়া আমার পথরোধ করতঃ আটক করে।
১নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে,মোঃ মাহাবুল ইসলাম (৩৫), মোঃ এনামুল হক (২৬),মোঃ নূর আমিন (৩৬), মোঃ বাবু মিয়া (৫৫), মোছাঃ অরেচা বেগম (৫০), স্বামী-মোঃ বাবু মিয়া, ৬। মোছাঃ তানিয়া বেগম (২৮), স্বামী-মোঃ নুর আমিন, ৭। মোছাঃ আশা মনি (২২), স্বামী-মোঃ এনামুল হক, সর্ব সাং-রানীপুকুর আজিতপাড়া, ০২নং রানীপুকুর ইউনিয়ন, থানা-মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুর-
গনদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার করিতেছি আমাদের সহিত উপরোক্ত বিবাদীদের পূর্ব হইতে,
১নং বিবাদী মাহাবুর ইসলাম এর হাতে থাকা ছোরা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার পিছনোর ডান পার্শ্বে চোট মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এ সময় আমার দুই ভাই মোঃ আবু সাইদ ও মোঃ জাহিদ মিয়া-দ্বয় উক্ত ঘটনা দেখিতে পাইয়া আমাকে রক্ষার জন্য আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা তাহাদেরকে মারপিট করিতে থাকে। ২নং বিবাদী এনামুল হক এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই, আবু সাইদ
এর মাথার মাঝখানের ডান পার্শ্বে স্বজোরে ডাং মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত ফাঁটা জখম করে। ৩নং বিবাদী নূর আমিন এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার ভাই মোঃ জাহিদ মিয়াকে,
চিরতরে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বাম পায়ে স্বজোরে ডাং মারিলে ডাংটি আমার ভাইয়ের বাম পায়ের গোড়ালির উপরে লাগিয়া রক্তাক্ত হাড় ভাংগা ফোলা জখম হয়। ঘটনার শোরগোলে আমার
পিতা-মা
নিজ বাড়ী হইতে বাহির হইয়া ঘটনা দেখিতে পাইয়া আমাদেরকে রক্ষার জন্য আগাইয়া আসিলে
৪নং বিবাদী বাবু মিয়া,তার হাতে থাকা লাঠি দিয়া পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করিয়া জখম করে। ৫নং বিবাদী মোছাঃ অরেচা বেগম, তার হাতে থাকা লাঠি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মায়ের মাথার উপরে কপালের বাম পাশে স্বজোরে ডাং মারিয়া ফোলা জখম করে এবং,
৬নং বিবাদী মোছাঃ তানিয়া বেগম
লাঠি দিয়া আমার মায়ের শরীরের বিভিন্নস্থানে মারপিট করিয়া জখম করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন সহ
সাক্ষী ১। মোছাঃ শামিমা বেগম (৩০), স্বামী-মোঃ আবু সাইদ, ২। মোঃ ফখরুল ইসলাম (৩৬), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, ৩। মোঃ তাহাদুল ইসলাম (৪০), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবু, ৪। মোঃ নাজমুল হাসান (২৭), পিতা-মোঃ মকবুল হোসেন, সর্ব সাং- রানীপুকুর আজিতপাড়া, থানা-মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুর-গন
সহ আরো অনেকে আগাইয়া আসিয়া বিবাদীদের কবল হইতে আমাদের উদ্ধার করিলে বিবাদীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি দিয়া সেখান হইতে চলিয়া যায়। পরে আমি সহ আমার, দুই ভাই ও পিতা-মাতা জখম প্রাপ্ত হওয়ায় উপস্থিত লোকজন সহ সাক্ষীদের সহায়তায় অজ্ঞাতনামা মাইক্রোবাস যোগে মিঠাপুকুর সরকারী হাসপাতালে আসিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। বর্তমানে আমরা সকলে চিকিৎসাধীন থাকিয়া ঘটনার বিষয়ে পরিবারের লোকজনদের সহিত আলোচনা করিয়া অত্র এজাহারে নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়া আমার মামা সাক্ষী মোঃ ফখরুল ইসলাম এর মাধ্যমে অত্র এজাহার থানায় প্রেরণ করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।