ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক নাসিম হায়দার চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থীকে শাস্তি কুয়েটের প্রো-ভিসি শেখ শরীফুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণ বোরহানউদ্দিনে স্বপ্নকুড়িঁ আধুনিক শিশু শিক্ষালয় স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নাটোর রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা মাদকাসক্ত কোন ছেলেকে বিবাহ করবে না ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬২৯ নতুন রোগী রংপুরে দলিল লেখক এর উপর হামলা বাবা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি ভোলায় জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের সংবাদ সম্মেলন রাহুল–প্রিয়াঙ্কাকে সহিংসতাগ্রস্ত সাম্ভালে যেতে দিল না পুলিশ

স্কুলে না গিয়েও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক আ.লীগ নেতা

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় সই দিয়ে নিয়মিত বেতন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের শহীদ শাহজাহান বীর বিক্রম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হলেন মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। দুই বছর আগে গাবেরগ্রাম বাজার উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় এ বছরের ২৪ অক্টোবর মাদারগঞ্জ মডেল থানায় নাশকতার মামলা হলে এজাহারে তার নাম থাকার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ে না এলেও হাজিরা খাতায় সই করে নিয়মিত তুলছেন বেতন-ভাতা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানতে সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতির স্বাক্ষর দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না। মামলার পর তাকে আমি বিদ্যালয়ে আসতে দেখিনি।

আরেক সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না অনেক দিন ধরে। স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় কীভাবে সই করেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা বলেন, বিদ্যালয়ে না এসেও কীভাবে তিনি বেতন উত্তোলন করেন? কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বিষয়টি যেন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ জন্য বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন উত্তোলনের সুযোগ নেই। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

স্কুলে না গিয়েও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক আ.লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৯:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় সই দিয়ে নিয়মিত বেতন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের শহীদ শাহজাহান বীর বিক্রম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হলেন মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছ। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। দুই বছর আগে গাবেরগ্রাম বাজার উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় এ বছরের ২৪ অক্টোবর মাদারগঞ্জ মডেল থানায় নাশকতার মামলা হলে এজাহারে তার নাম থাকার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ে না এলেও হাজিরা খাতায় সই করে নিয়মিত তুলছেন বেতন-ভাতা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানতে সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতির স্বাক্ষর দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না। মামলার পর তাকে আমি বিদ্যালয়ে আসতে দেখিনি।

আরেক সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না অনেক দিন ধরে। স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় কীভাবে সই করেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা বলেন, বিদ্যালয়ে না এসেও কীভাবে তিনি বেতন উত্তোলন করেন? কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বিষয়টি যেন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ জন্য বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন উত্তোলনের সুযোগ নেই। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।