মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাজিবের ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অপরাধে জড়িত অর্থের পাঁচগুণ জরিমানা হতে পারে। অবশ্য এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
৭১ বছর বয়সী নাজিবকে ২০২২ সালে ওয়ানএমডিবি সংশ্লিষ্ট পৃথক একটি মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পড়ে মালয়েশিয়ার রাজার সভাপতিত্বে একটি ক্ষমা বোর্ড এই সাজা অর্ধেক করে দেয় এবং নাজিব ২০২৮ সালের আগস্টে মুক্তি পাওয়ার সময় ধার্য হয়।
মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা বলছেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নাজিবের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি থেকে অন্তত ৪৫০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, প্রসিকিউটররা নাজিবের বিরুদ্ধে ২৫টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছেন। সাক্ষ্য দিতে প্রসিকিউটররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর জেটি আখতার আজিজসহ ৫০ জন সাক্ষীকে ডেকেছিলেন।
নাজিবের প্রতিরক্ষা দলের প্রধান মুহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই রায়ে ‘অত্যন্ত হতাশ’। তবে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুত।
নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া নাজিব গত সপ্তাহে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ব্যর্থতায় তার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন যা বিরল।
রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে তার কিছু জানা ছিল না দাবি করে নাজিব বলেন, অন্যরা তাকে বিভ্রান্ত করেছে। তিনি ভেবেছিলেন, তার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরিত অর্থ সৌদি রাজপরিবারের রাজনৈতিক অনুদান।