ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবির সভা অনুষ্ঠিত রংপুরে ৩৪ জন আইনজীবীকে বিভিন্ন আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান মাতারবাড়িতে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ দাবি শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সমাজকল্যাণের সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর, পিএসসির সচিব ওএসডি রাজধানীর খিলক্ষেতে দাপুটে সাইফুল ইসলাম গংয়ের রাজউকের নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কচুরিপানার চাপে টগড়া চরখালি ফেরি চলাচল বন্ধ জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রিরা পার হচ্ছে নদী “ভূমি খ্যাকো” মাহবুব এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাতিরার মানুষ গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও কৃষকলীগের নেতা গ্রেপ্তার দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের জনক পুবাইলের ডিজিএম নুরুন্নবী

“ভূমি খ্যাকো” মাহবুব এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাতিরার মানুষ

রাজধানীর শেষপ্রান্ত খিলক্ষেত থানার সন্ত্রাসীদের গডফাদার মাহবুব আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নিরহ মানুষ। জাল দলিল ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে জমি দখলসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন তিনি।

স্বৈরাচারী সরকারের দোসর মাহবুব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছে। জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র তৈরি করে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জমি দখল, একাধিক বাড়ি গাড়িসহ কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিএনসিসির ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৪ নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মাহবুব।এক সময় কষ্টের জীবনযাপন করতেন তিনি। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় গড়ে তোলেন একটি শক্ত সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট।এলাকার রিলায়েন্স সিটিকে জমি ক্রয় করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।কেউ জমি না দিতে চাইলে জোরপূর্বক তার জমি বিক্রি করতে বাধ্য করতো। তার অত্যাচারে মানুষ ছিল নিরুপায়। জমি ক্রয়ের পাশাপাশি প্রকল্পের বালু ভরাটের কাজ করতেন তিনি। বালু ভরাটের সুযোগে অন্যের জমি বালু দিয়ে ভরাট করে প্রকল্পের জমি বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতেন মাহবুব। আর এইসব অপকর্মের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক বলে যান তিনি।

সম্পত্তির বিবরণ:পাতিরা এলাকায় ৬২ শতাংশ জমি আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা, একই এলাকায় ৩২ শতাংশ জমি আনুমানিক মূল্য ২৫-৩০ কোটি টাকা। পূর্বাচল ১ নং সেক্টরে দশ কাটার একটি প্লট। পাতিরা স্ট্যান্ডে কয়েক বিঘা জমির উপর বিশাল মার্কেট,তিনটি বাড়ি,৩-৪ বিঘা জমির উপর বসবাস করেন তিনি।তার ব্যবহৃত দুটি দামি কারি, আলিশান বাড়ি সহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক মাহবুব। এছাড়া পূর্বাঞ্চলে আরো একটি প্লট, বসুন্ধরায় প্লট ও ফ্ল্যাট সহ নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি তার রয়েছে বলে জানা যায়।

পাতিরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মিয়া (৫০) জানান, ৩০ বছর আগে ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। মাহবুব রিলায়েন্স সিটির বালু দিয়ে আমার জমি ভরাট করে। জমিতে কোন স্থাপনা তুলতে গেলে মাহবুবের লোকজন বাধা প্রদান করে। থানায় গেলেও কোন সূরাহা হত না প্রশাসন তার পক্ষ হয়ে কাজ করে। তবে বর্তমান সরকারের কাছে মাহবুবের বিচার প্রার্থনা করছি।

মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে কাইয়ুম জানান,২০১৬ সালে আমার বাবার ক্রয়কৃত ১৩ শতাংশ জমির ১০ শতাংশ জমি জাল দলিল করে (বোরাক কোম্পানির) কাছে বিক্রি করে দেয় মাহবুব। আমরা এসিল্যান্ড অফিসে মামলা করেছি কিন্তু কোন সুরাহা হয় নাই। ঘটনার সময় বাবা হজ্জ্বে ছিলেন। জমি হারানোর শোকে হজ্জ্ব থেকে ফেরার কিছুদিন পর বাবার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী বিষয়টি বিচারের নামে আমাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। মাহবুবকে এ বিষয়ে বলতে গেলে আমাকে পিস্তল দিয়ে হুমকি দিত।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানান, মাহবুব আলমের “থার্টি গ্রুপ” নামের একটি সংঘবদ্ব প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী চক্র রয়েছে। চক্রটি সাধারণ মানুষের জমি দখল করে প্রথমে কজ্বায় নেয়।পরবর্তীতে জমিন মালিক কে জিম্মি করে। তারপর শুরু হয় জমির মালিকের সংঙ্গে দেনদরবার।তার কথামতো জমি না ছাড়লে মালিককে দেওয়া হত হত্যার হুমকি। এতে জমির মালিক ভয় পেয়ে যায় আর এটিকে পুঁজি করে জোর করে স্বাক্ষর ন্যায় তারা। কথা না শুনলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো।

তারা আরও জানান,বিগত দিনে হাসিনার সরকারের অসাধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন অপকর্মগুলো করেছে মাহবুব। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা হয়রানি করা হত।মাহবুব এর নামে খিলক্ষেত থানায় অসংখ্য জিডি করা আছে। যা পর্যালোচনা করে বর্তমান সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন এলাকাবাসী। এছাড়া জমি দখলের যের ধরে কয়েকমাস আগে একজন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

এ সকল বিষয় অস্বীকার করে মাহবুব বলেন, বেশির ভাগই আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের করা হচ্ছে। রিলায়েন্স সিটিতে বালু ভরাটের কাজ করি কারো জমি দখল করা নয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার ছোট ছেলেকে গত জানুয়ারি মাসে দেশের বাহিরে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠান।সেখানে একটি তেলের পাম্প করে ব্যবসা পরিচালনা করার পায়তারা চালাচ্ছেন ।এমনকি যে কোন সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

রিলায়েন্স সিটির সাইট অফিসের সেলসম্যান জুয়েল বলেন,এখানে সে বালু ভরাটের কাজ করে।তার নামে এলাকার অনেক মানুষের জমি দখলের অভিযোগের কথা শুনেছি।আওয়ামীলীগ সরকারের সময় প্রশাসন তার কথা শুনবে এটাই স্বাভাবিক। সে তো অনেক টাকার মালিক।

রিলায়েন্স সিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওসমানী বলেন, ২০০০ সালে ৩০০- ৫০০ টাকার জন্য আমাদের সাইট অফিসে বসে থাকতেন ।আমাদের সাথে তার কোন ঝামেলা নাই।তবে শুনেছি এলাকায় তার নামে জমির মালিকদের অনেক মামলা আছে।কয়েক বছর আগে প্রাণ আর এফ এল গ্রূপকে জমি ক্রয় করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে।বিষয়টি নিয়ে র্যাবের ভয়ে তৎকালীন সময় বেশ কিছুদিন আত্মগোপন ছিলেন তিনি।

এছাড়া রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়ায় এনআরবি সিটির গ্রাহকদের টাকায় ক্রয়কৃত জমিসহ সকল জমি অন্য কোম্পানি কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ রয়েছে তার বিরূদ্ধে। যা থাকছে আগামী সংখ্যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়াইনঘাটে এফআইভিডিবির সভা অনুষ্ঠিত

“ভূমি খ্যাকো” মাহবুব এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাতিরার মানুষ

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর শেষপ্রান্ত খিলক্ষেত থানার সন্ত্রাসীদের গডফাদার মাহবুব আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নিরহ মানুষ। জাল দলিল ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে জমি দখলসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন তিনি।

স্বৈরাচারী সরকারের দোসর মাহবুব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছে। জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র তৈরি করে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জমি দখল, একাধিক বাড়ি গাড়িসহ কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিএনসিসির ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৪ নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মাহবুব।এক সময় কষ্টের জীবনযাপন করতেন তিনি। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় গড়ে তোলেন একটি শক্ত সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট।এলাকার রিলায়েন্স সিটিকে জমি ক্রয় করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।কেউ জমি না দিতে চাইলে জোরপূর্বক তার জমি বিক্রি করতে বাধ্য করতো। তার অত্যাচারে মানুষ ছিল নিরুপায়। জমি ক্রয়ের পাশাপাশি প্রকল্পের বালু ভরাটের কাজ করতেন তিনি। বালু ভরাটের সুযোগে অন্যের জমি বালু দিয়ে ভরাট করে প্রকল্পের জমি বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতেন মাহবুব। আর এইসব অপকর্মের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক বলে যান তিনি।

সম্পত্তির বিবরণ:পাতিরা এলাকায় ৬২ শতাংশ জমি আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা, একই এলাকায় ৩২ শতাংশ জমি আনুমানিক মূল্য ২৫-৩০ কোটি টাকা। পূর্বাচল ১ নং সেক্টরে দশ কাটার একটি প্লট। পাতিরা স্ট্যান্ডে কয়েক বিঘা জমির উপর বিশাল মার্কেট,তিনটি বাড়ি,৩-৪ বিঘা জমির উপর বসবাস করেন তিনি।তার ব্যবহৃত দুটি দামি কারি, আলিশান বাড়ি সহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক মাহবুব। এছাড়া পূর্বাঞ্চলে আরো একটি প্লট, বসুন্ধরায় প্লট ও ফ্ল্যাট সহ নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি তার রয়েছে বলে জানা যায়।

পাতিরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মিয়া (৫০) জানান, ৩০ বছর আগে ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। মাহবুব রিলায়েন্স সিটির বালু দিয়ে আমার জমি ভরাট করে। জমিতে কোন স্থাপনা তুলতে গেলে মাহবুবের লোকজন বাধা প্রদান করে। থানায় গেলেও কোন সূরাহা হত না প্রশাসন তার পক্ষ হয়ে কাজ করে। তবে বর্তমান সরকারের কাছে মাহবুবের বিচার প্রার্থনা করছি।

মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে কাইয়ুম জানান,২০১৬ সালে আমার বাবার ক্রয়কৃত ১৩ শতাংশ জমির ১০ শতাংশ জমি জাল দলিল করে (বোরাক কোম্পানির) কাছে বিক্রি করে দেয় মাহবুব। আমরা এসিল্যান্ড অফিসে মামলা করেছি কিন্তু কোন সুরাহা হয় নাই। ঘটনার সময় বাবা হজ্জ্বে ছিলেন। জমি হারানোর শোকে হজ্জ্ব থেকে ফেরার কিছুদিন পর বাবার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী বিষয়টি বিচারের নামে আমাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। মাহবুবকে এ বিষয়ে বলতে গেলে আমাকে পিস্তল দিয়ে হুমকি দিত।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানান, মাহবুব আলমের “থার্টি গ্রুপ” নামের একটি সংঘবদ্ব প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী চক্র রয়েছে। চক্রটি সাধারণ মানুষের জমি দখল করে প্রথমে কজ্বায় নেয়।পরবর্তীতে জমিন মালিক কে জিম্মি করে। তারপর শুরু হয় জমির মালিকের সংঙ্গে দেনদরবার।তার কথামতো জমি না ছাড়লে মালিককে দেওয়া হত হত্যার হুমকি। এতে জমির মালিক ভয় পেয়ে যায় আর এটিকে পুঁজি করে জোর করে স্বাক্ষর ন্যায় তারা। কথা না শুনলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো।

তারা আরও জানান,বিগত দিনে হাসিনার সরকারের অসাধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন অপকর্মগুলো করেছে মাহবুব। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা হয়রানি করা হত।মাহবুব এর নামে খিলক্ষেত থানায় অসংখ্য জিডি করা আছে। যা পর্যালোচনা করে বর্তমান সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন এলাকাবাসী। এছাড়া জমি দখলের যের ধরে কয়েকমাস আগে একজন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

এ সকল বিষয় অস্বীকার করে মাহবুব বলেন, বেশির ভাগই আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের করা হচ্ছে। রিলায়েন্স সিটিতে বালু ভরাটের কাজ করি কারো জমি দখল করা নয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার ছোট ছেলেকে গত জানুয়ারি মাসে দেশের বাহিরে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠান।সেখানে একটি তেলের পাম্প করে ব্যবসা পরিচালনা করার পায়তারা চালাচ্ছেন ।এমনকি যে কোন সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

রিলায়েন্স সিটির সাইট অফিসের সেলসম্যান জুয়েল বলেন,এখানে সে বালু ভরাটের কাজ করে।তার নামে এলাকার অনেক মানুষের জমি দখলের অভিযোগের কথা শুনেছি।আওয়ামীলীগ সরকারের সময় প্রশাসন তার কথা শুনবে এটাই স্বাভাবিক। সে তো অনেক টাকার মালিক।

রিলায়েন্স সিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওসমানী বলেন, ২০০০ সালে ৩০০- ৫০০ টাকার জন্য আমাদের সাইট অফিসে বসে থাকতেন ।আমাদের সাথে তার কোন ঝামেলা নাই।তবে শুনেছি এলাকায় তার নামে জমির মালিকদের অনেক মামলা আছে।কয়েক বছর আগে প্রাণ আর এফ এল গ্রূপকে জমি ক্রয় করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে।বিষয়টি নিয়ে র্যাবের ভয়ে তৎকালীন সময় বেশ কিছুদিন আত্মগোপন ছিলেন তিনি।

এছাড়া রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়ায় এনআরবি সিটির গ্রাহকদের টাকায় ক্রয়কৃত জমিসহ সকল জমি অন্য কোম্পানি কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ রয়েছে তার বিরূদ্ধে। যা থাকছে আগামী সংখ্যায়।