ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা গত সাড়ে পনের বছরে চাঁদাবাজি, লোটপাট, জবর দখল, ব্যবসা বাণিজ্য বিশৃংখলা, মামলা মোকদ্দমার ইতিহাস পিছনে ফেলে দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানা বিএনপির দুই নেতা।
তারা স্বৈরাচার সরকার পতন পুঁজি করে সাধারণ মানুষকে মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাসিক মাসোহারা, আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে কারখানায় ঝুট দখল ও নিয়ন্ত্রন, ডিস, রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে, জমি ক্রয়-বিক্রয় ভাগ-বাটোয়ারা না দিলে অন্যতায় উৎখাত করার ভয় দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রোববার, ২০ অক্টোবর রাতে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাসা থেকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ।
আটককৃতরা হলেন- বহিস্কৃত গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান এবং গাছা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি এবং হুমকি ধামকিসহ আরো নানা অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও দলীয় শৃংখলা ও সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউন্সিলর নির্বাচন করায় ফারুক খানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।
জানা যায়, গাজীপুরে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক খান ও মনির খানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করতে গেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে ফারুক ও মনির খান ও ১৩ জনসহ অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামী করে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগে করেন। তার পরিপেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল রানাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান ও জোর পূর্বকভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কর্মচারীর মাধ্যমে সোহেল রানাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন নয়তো মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন।
অন্যদিকে গাছা থানার মামলা নং ৮/(২১/৮/২৪) এর এজহার নামীয় ১০৮ নং আসামী মহানগরীর কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিটন মোল্লাকে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।