তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ দেশব্যপী চলছে অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ কার্যক্রম, তারই ধারাবাহিকতায় কিছু প্রতারক চক্র তিতাসের নামে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন উপায়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ। রাজধানী উত্তরার তুরাগ এলাকায় তিতাসের ভূয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে ধরা পড়েছে দুইজন ব্যক্তি, মোঃ ইউসুফ জুবায়ের, মেসার্স আবুল এন্টারপ্রাইজ, ৩/২, দক্ষিণ আনন্দ নগর, মসজিদ রোড, বাড্ডা, ঢাকা-১২১২ এবং মোঃ মিজানুর রহমান (হাসান), মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ, ৯৪১/৭, চামুরখান, উত্তরখান, ঢাকা।
তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি কোং লিঃ তালিকা ভুক্ত ঠিকাদার তিতাসের অফিসার পরিচয় দিয়ে গত ১৬/১০/২০২৪ইং কয়েকটি বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে। সংবাদটি সত্য মিথ্যা যাচাই করার জন্য ভাড়ির মালিককে গ্যাস বিল বই নিয়ে তিতাস গ্যাস এর গুলশান ২ জোন অফিসে ডিজিএম বিক্রয় মেট্রো-৪ স্যারের দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলে।
বামনারটেক, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা ঠিকানায় মোঃ সেলিম মিয়া ও তার ভাই মোঃ শাওন, মোঃ সেলিম মিয়ার সাথে কথা হলে আমাদের মাতৃভূমিকে জানান, তিতাসের অফিসার পরিচয়ে আমাদের বাসায় আসে এবং আমাদের কাছে গ্যাসের বই চায় এবং তাদেরকে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। তাদের আচরণ বিধি আমাদের সন্দেহ হলে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার করলে, স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পরে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
এরপর জানা যায় তারা তিতাসের অফিসার হিসেবে যা পরিচয় দিয়েছে বিষয়টি মিথ্যা, তবে জানা যায় তারা তিতাসের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে। পুলিশের সাথে রফা-দফা করে তারা ছাড়া পেয়ে, বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে, সেই সংবাদকে কেন্দ্র প্রাণের বাংলাদেশ প্রত্রিকার রির্পোটার মোঃ সোহাগ জোয়ার্দার কে জড়িয়ে তিতাস সহ বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা প্রবগন্ডা ছড়ায়, অথচ এই সংবাদের সাথে রিপোর্টার সোহাগ জোয়ার্দারের কোন সম্পর্ক নেই। যে এলাকার অবৈধ লাইন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, এই লাইনগুলো কাটা, এখন সময়ের দাবি।
নিজেরা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে যখন লাঞ্চিত হয়েছে, তাদের ঠিকাদারি ব্যবসা যখন হুমকির মুখে পড়েছে, তখন চোরের মায়ের বড় গলা, এরকম বিষয় নিয়ে তিতাস প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিককে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগটি উলবনে মুক্তা ছড়ানোর মত অবস্থা।