ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সমাজকল্যাণের সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর, পিএসসির সচিব ওএসডি রাজধানীর খিলক্ষেতে দাপুটে সাইফুল ইসলাম গংয়ের রাজউকের নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কচুরিপানার চাপে টগড়া চরখালি ফেরি চলাচল বন্ধ জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রিরা পার হচ্ছে নদী “ভূমি খ্যাকো” মাহবুব এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাতিরার মানুষ গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও কৃষকলীগের নেতা গ্রেপ্তার দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের জনক পুবাইলের ডিজিএম নুরুন্নবী উত্তরায় তিতাসের ভূয়া কর্মকর্তা আটকের সংবাদ প্রকাশের জেড়ে মিথ্যা প্রবাগন্ডা ছড়াচ্ছে কুচক্রি মহল রাষ্ট্রপতি অপসারণ সাংবিধানিক প্রশ্ন নয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত : উপদেষ্টা নাহিদ রাষ্ট্রপতি অপসারণ সাংবিধানিক প্রশ্ন নয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: উপদেষ্টা নাহিদ

দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের জনক পুবাইলের ডিজিএম নুরুন্নবী

গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর, ভেঙে দেওয়া হয় মন্ত্রী পরিষদ, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা ও আরো কয়েকজন কে উপদেষ্টা রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ সংস্কারের করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন, এসব উদ্যোগ গ্রহণ করার পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের দুর্নীতি এবং বিভিন্ন অপকর্ম জনসম্মুখে বেরিয়ে আসে, অপকর্মে লিপ্ত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিভিন্ন অপরাধের কারণে অপরসারণ করা হয়েছে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র এবং চেয়ারম্যানদেরকেও, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার কারণে তারাও পদত্যাগ করেছেন, সারাদেশেই এরকম অপরাধ আর অপকর্মে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারাও, ভুতুড়ে বিল, অবৈধ সংযোগ থাকলেও দেখে না দেখার ভান করা, সাময়িকভাবে লাইন কেটে দিয়ে অফিসিয়াল নিয়ম না মেনে আবার লাইন পুনরায় চালু করে দেওয়া, নতুন সংযোগ দিয়ে সুবিধা নেয়া, আরো কত কি অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

যখন তীব্র তাপপ্রবাহ ছিলো তখন থেকে একজন গ্রাহকের কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখাই ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ১৩০ ইউনিট, মে মাসে, ১৮৫ ইউনিট, জুন মাসে ১৫০, জুলাই মাসে ১৯০ ইউনিট, আগস্ট মাসে ১৭৫ ইউনিট, সেপ্টেম্বর মাসে ১৬০, এখানে আমরা ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখালাম এই গ্রাহক সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন জুলাই মাসে ১৯০ইউনিট, যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ গত মাস এবং শুরু হওয়া মাসের প্রথম তারিখের দু’একদিন নিয়ে বিল করে থাকে সেহেতু ৩০/৯/২০২৪ – ০২/১০/২০২৪ ইং অক্টোবর মাসে বিল দেখানো হয় ২০০ ইউনিট, যা এই গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর থেকে কখনো ২০০ ইউনিট বিল দেননি।

অথচ গত মাসেই বৃষ্টির কারণে আগুন লেগে মিটার পুড়ে যায়, মিটার পুড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পরিবারটি ভোগান্তিতে থাকে দীর্ঘ কয়েক দিন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শিশুদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে, পরিবারটিতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকায় আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সেই বাড়িতে বসবাস করা নিয়ে, এমন পরিস্থিতিতে পুবাইলের পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নুরুন্নবীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন শাখা অফিসে যোগাযোগ করতে, সেখানে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয় সময় লাগবে, আবারো তাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করার পর, নতুন মিটার স্থাপন করা হয়, মিটার পুড়ে যাওয়ার কারণে দেখা যায়নি কত ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে, গ্রাহকের মিটারে দেখা না গেলেও তাকে বিল দিতে হয়েছে ২০০ ইউনিটের।

এমন ভুতুরে বিলের প্রতিকার চায় সাধারণ মানুষ, তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আছেন প্রচুর ভোগান্তিতে, বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ না থাকলেও আগে থেকে কোন ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে না পুবাইলের পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা নুরুন্নবী।

গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নিয়মিত বিদ্যুৎ না পেয়ে, তাছাড়া পল্লী বিদ্যুতের যে অভিযোগ দেয়ার নাম্বারটি রয়েছে সেখানে ফোন দিলেও ঠিকমতো তারা ফোন রিসিভ করেন না, পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বসতবাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলেও যথাযথ সময়ে উপস্থিত হন না, সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তাদের কাছ থেকে তেমন কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না।

পুবাইলের বসবাসরত পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় নতুন মিটারের আবেদন যারা করেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন অনলাইনে আবেদন করতে হবে, আবেদন এর পর একটি ট্রানজেকশন কোড নাম্বার পাবেন তারপরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখবেন, পল্লী বিদ্যুতের পাশে অফিসের একটি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে, সে দোকানটির মাধ্যমেই পল্লী বিদ্যুতের সকল অপকর্ম পরিচালিত হয়, কারণ পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করতে গেলে তার পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নাম্বার জমা দিতে হয়, আবেদনের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী হিসাব বিলের নাম্বার দিলেও অনলাইনে সে আবেদন ভুল দেখায়, কারন এই হিসাব নাম্বার পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা এবং ওই দোকানদার জানেন, বিদ্যুৎ বিলের কপিতে যে হিসাব নাম্বারটা থাকে সেই নাম্বারের সাথে মিল থাকে না আবেদনের যে নাম্বার ব্যবহার হয়, এখানেই একটি টাকা কামানোর মাধ্যম করে রেখেছে পুবাইলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মরত কর্মকর্তা।

যেকোনো ব্যক্তি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করলে সে আবেদনের সকল বিষয়ই পল্লী বিদ্যুতের পাশের কম্পিউটারের দোকানদার জানে, আবার অফিসে যোগাযোগ করলেও তারাও এই কম্পিউটারের দোকানেই পাঠায়।

এসব বিষয়ের উপরে সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নুরুন্নবী, এ সময় সাংবাদিকদের কে হুমকি দিয়ে বলেন আপনাদেরকে দেখে নেবো, সবগুলো টিভি চ্যানেল সহ-পত্রিকায় আছে আমার বন্ধুরাই বড় বড় সাংবাদিক, দেশের ক্ষমতাধর লোকজনের সাথে আমার চলাফেরা, আপনারা আমার ভিডিও করতে এসেছেন আপনাদেরকে দেখে নেবো। এমন হুমকি সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণকর নয়।

এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের উদ্বোতন কর্মকর্তাকে ফোন দিলে কোন মন্তব্য করতে রাজি নয় বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুসিকের জনপ্রতিনিধিদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের জনক পুবাইলের ডিজিএম নুরুন্নবী

আপডেট সময় ০৪:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর, ভেঙে দেওয়া হয় মন্ত্রী পরিষদ, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা ও আরো কয়েকজন কে উপদেষ্টা রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ সংস্কারের করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন, এসব উদ্যোগ গ্রহণ করার পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের দুর্নীতি এবং বিভিন্ন অপকর্ম জনসম্মুখে বেরিয়ে আসে, অপকর্মে লিপ্ত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিভিন্ন অপরাধের কারণে অপরসারণ করা হয়েছে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র এবং চেয়ারম্যানদেরকেও, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার কারণে তারাও পদত্যাগ করেছেন, সারাদেশেই এরকম অপরাধ আর অপকর্মে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারাও, ভুতুড়ে বিল, অবৈধ সংযোগ থাকলেও দেখে না দেখার ভান করা, সাময়িকভাবে লাইন কেটে দিয়ে অফিসিয়াল নিয়ম না মেনে আবার লাইন পুনরায় চালু করে দেওয়া, নতুন সংযোগ দিয়ে সুবিধা নেয়া, আরো কত কি অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

যখন তীব্র তাপপ্রবাহ ছিলো তখন থেকে একজন গ্রাহকের কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখাই ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ১৩০ ইউনিট, মে মাসে, ১৮৫ ইউনিট, জুন মাসে ১৫০, জুলাই মাসে ১৯০ ইউনিট, আগস্ট মাসে ১৭৫ ইউনিট, সেপ্টেম্বর মাসে ১৬০, এখানে আমরা ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখালাম এই গ্রাহক সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন জুলাই মাসে ১৯০ইউনিট, যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ গত মাস এবং শুরু হওয়া মাসের প্রথম তারিখের দু’একদিন নিয়ে বিল করে থাকে সেহেতু ৩০/৯/২০২৪ – ০২/১০/২০২৪ ইং অক্টোবর মাসে বিল দেখানো হয় ২০০ ইউনিট, যা এই গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর থেকে কখনো ২০০ ইউনিট বিল দেননি।

অথচ গত মাসেই বৃষ্টির কারণে আগুন লেগে মিটার পুড়ে যায়, মিটার পুড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পরিবারটি ভোগান্তিতে থাকে দীর্ঘ কয়েক দিন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শিশুদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে, পরিবারটিতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকায় আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সেই বাড়িতে বসবাস করা নিয়ে, এমন পরিস্থিতিতে পুবাইলের পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নুরুন্নবীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন শাখা অফিসে যোগাযোগ করতে, সেখানে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয় সময় লাগবে, আবারো তাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করার পর, নতুন মিটার স্থাপন করা হয়, মিটার পুড়ে যাওয়ার কারণে দেখা যায়নি কত ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে, গ্রাহকের মিটারে দেখা না গেলেও তাকে বিল দিতে হয়েছে ২০০ ইউনিটের।

এমন ভুতুরে বিলের প্রতিকার চায় সাধারণ মানুষ, তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আছেন প্রচুর ভোগান্তিতে, বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ না থাকলেও আগে থেকে কোন ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে না পুবাইলের পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা নুরুন্নবী।

গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নিয়মিত বিদ্যুৎ না পেয়ে, তাছাড়া পল্লী বিদ্যুতের যে অভিযোগ দেয়ার নাম্বারটি রয়েছে সেখানে ফোন দিলেও ঠিকমতো তারা ফোন রিসিভ করেন না, পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বসতবাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলেও যথাযথ সময়ে উপস্থিত হন না, সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তাদের কাছ থেকে তেমন কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না।

পুবাইলের বসবাসরত পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় নতুন মিটারের আবেদন যারা করেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন অনলাইনে আবেদন করতে হবে, আবেদন এর পর একটি ট্রানজেকশন কোড নাম্বার পাবেন তারপরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখবেন, পল্লী বিদ্যুতের পাশে অফিসের একটি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে, সে দোকানটির মাধ্যমেই পল্লী বিদ্যুতের সকল অপকর্ম পরিচালিত হয়, কারণ পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করতে গেলে তার পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নাম্বার জমা দিতে হয়, আবেদনের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী হিসাব বিলের নাম্বার দিলেও অনলাইনে সে আবেদন ভুল দেখায়, কারন এই হিসাব নাম্বার পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা এবং ওই দোকানদার জানেন, বিদ্যুৎ বিলের কপিতে যে হিসাব নাম্বারটা থাকে সেই নাম্বারের সাথে মিল থাকে না আবেদনের যে নাম্বার ব্যবহার হয়, এখানেই একটি টাকা কামানোর মাধ্যম করে রেখেছে পুবাইলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মরত কর্মকর্তা।

যেকোনো ব্যক্তি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করলে সে আবেদনের সকল বিষয়ই পল্লী বিদ্যুতের পাশের কম্পিউটারের দোকানদার জানে, আবার অফিসে যোগাযোগ করলেও তারাও এই কম্পিউটারের দোকানেই পাঠায়।

এসব বিষয়ের উপরে সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা নুরুন্নবী, এ সময় সাংবাদিকদের কে হুমকি দিয়ে বলেন আপনাদেরকে দেখে নেবো, সবগুলো টিভি চ্যানেল সহ-পত্রিকায় আছে আমার বন্ধুরাই বড় বড় সাংবাদিক, দেশের ক্ষমতাধর লোকজনের সাথে আমার চলাফেরা, আপনারা আমার ভিডিও করতে এসেছেন আপনাদেরকে দেখে নেবো। এমন হুমকি সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণকর নয়।

এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের উদ্বোতন কর্মকর্তাকে ফোন দিলে কোন মন্তব্য করতে রাজি নয় বলে জানান।