ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ । তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে শেরপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন প্রেসক্লাব মিঠাপুকুরের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুর রহমান সাহেব মিয়ার শোক স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত এবার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দাবি কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে আনন্দবাজারকে যা বললেন জামায়াত আমির ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেফতার পটুয়াখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে চলছে শাহানাজ বেগমের রমরমা দেহ ব্যবসা

  • রাজু আহমেদ, ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮১৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মহানগরীর নিরিবিলি পরিবেশ ভাটারা থানাধীন কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার মিয়া বাড়ি (মজলু মিয়ার বাড়ি)তে নিজের ফ্ল্যাটে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উক্ত ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় মজলু মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম সুন্দরী মেয়েদের রেখে ব্যাপক ভাবে চলাচ্ছে অবৈধ দেহ ব্যবসা।

আর এই ব্যবসায় শাহানাজের সহযোগী হিসাবে কাজ করছে খোদ তার স্বামী মজলু মিয়া ও ছেলে শাকিব মিয়া এবং আড়ালে থেকে সহযোগীতা করছে শাহনাজ বেগমের ভাই আকতার হোসেন। এ ব্যাপারে এলাকায় জানাজানি হলে শাহানাজ বেগম ধাম্বীকতার সাথে উত্তর দেন, আমি থানায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা মাশোয়ারা দেই। পারলে কেউ কিছু করে দেখান। এভাবেই প্রকাশ্যে পুলিশের মাশোয়ারার কথা বলে নির্বিগ্নে চালাচ্ছেন অবৈধ দেহ ব্যবসা।

তারা উক্ত এলাকার স্থানীয় আদিবাসী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস করেন না। সূত্রে জানা যায়, তার বাসায় দিনের বিভিন্ন সময় অহরহ অপরিচিত মানুষের যাতায়াত থাকে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই হল শাহনাজের দেহ ব্যবসার খদ্দের। এদের মধ্যে আছে ভি আই পি কাস্টমার যাদের কাছ থেকে প্রতি রাতে মেয়েদের সাথে রাত্রী যাপনের বিনিময়ে শাহনাজ আদায় করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আছে খন্ডকালীন খদ্দের যারা ১ থেকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সময় কাটান নিজ পছন্দের মেয়েদের সাথে।

আর এসব মেয়েদের যোগানদাতাও হলেন শাহনাজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের চাকরির কথা বলে নিয়ে আসেন তার ফ্ল্যাটে। একসময় ওইসব মেয়েদের বাধ্য করান দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হতে। এছাড়াও আছে স্বেচ্ছায় আসা ১৫ থেকে ৩০ বছরের মেয়ে ও মহিলারা। যারা শাহনাজ বেগমের ফ্ল্যাটে আসা খদ্দেরদের যোগান দিয়ে চলেন। এসব কার্মকান্ড করে শাহনাজ প্রতি মাসে আয় করে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সাথে পতিতাদের উলঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে শাহানাজ বেগম।

এ ব্যাপারে শাহনাজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে চলতে থাকেন। একসময় সরজমিনে প্রতিবেদক তার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হলে বিভিন্ন প্রকার নারী ও পুরুষদের দেখতে পান। এ সময় শাহনাজ বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ছেলে শাকিব মিয়া প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। পরে সাংবাদিক জানতে পেরে শাকিব মিয়া বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একসময় প্রতিবেদকের গায়ে হাত তুলতে চড়াও হন। ওই সময় শাহনাজ বেগম বলতে থাকেন, আমরা থানায় টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ।

রাজধানীতে ফ্ল্যাটে চলছে শাহানাজ বেগমের রমরমা দেহ ব্যবসা

আপডেট সময় ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা মহানগরীর নিরিবিলি পরিবেশ ভাটারা থানাধীন কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার মিয়া বাড়ি (মজলু মিয়ার বাড়ি)তে নিজের ফ্ল্যাটে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উক্ত ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় মজলু মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম সুন্দরী মেয়েদের রেখে ব্যাপক ভাবে চলাচ্ছে অবৈধ দেহ ব্যবসা।

আর এই ব্যবসায় শাহানাজের সহযোগী হিসাবে কাজ করছে খোদ তার স্বামী মজলু মিয়া ও ছেলে শাকিব মিয়া এবং আড়ালে থেকে সহযোগীতা করছে শাহনাজ বেগমের ভাই আকতার হোসেন। এ ব্যাপারে এলাকায় জানাজানি হলে শাহানাজ বেগম ধাম্বীকতার সাথে উত্তর দেন, আমি থানায় প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা মাশোয়ারা দেই। পারলে কেউ কিছু করে দেখান। এভাবেই প্রকাশ্যে পুলিশের মাশোয়ারার কথা বলে নির্বিগ্নে চালাচ্ছেন অবৈধ দেহ ব্যবসা।

তারা উক্ত এলাকার স্থানীয় আদিবাসী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস করেন না। সূত্রে জানা যায়, তার বাসায় দিনের বিভিন্ন সময় অহরহ অপরিচিত মানুষের যাতায়াত থাকে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই হল শাহনাজের দেহ ব্যবসার খদ্দের। এদের মধ্যে আছে ভি আই পি কাস্টমার যাদের কাছ থেকে প্রতি রাতে মেয়েদের সাথে রাত্রী যাপনের বিনিময়ে শাহনাজ আদায় করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আছে খন্ডকালীন খদ্দের যারা ১ থেকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সময় কাটান নিজ পছন্দের মেয়েদের সাথে।

আর এসব মেয়েদের যোগানদাতাও হলেন শাহনাজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের চাকরির কথা বলে নিয়ে আসেন তার ফ্ল্যাটে। একসময় ওইসব মেয়েদের বাধ্য করান দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হতে। এছাড়াও আছে স্বেচ্ছায় আসা ১৫ থেকে ৩০ বছরের মেয়ে ও মহিলারা। যারা শাহনাজ বেগমের ফ্ল্যাটে আসা খদ্দেরদের যোগান দিয়ে চলেন। এসব কার্মকান্ড করে শাহনাজ প্রতি মাসে আয় করে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সাথে পতিতাদের উলঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে শাহানাজ বেগম।

এ ব্যাপারে শাহনাজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে চলতে থাকেন। একসময় সরজমিনে প্রতিবেদক তার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হলে বিভিন্ন প্রকার নারী ও পুরুষদের দেখতে পান। এ সময় শাহনাজ বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ছেলে শাকিব মিয়া প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। পরে সাংবাদিক জানতে পেরে শাকিব মিয়া বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একসময় প্রতিবেদকের গায়ে হাত তুলতে চড়াও হন। ওই সময় শাহনাজ বেগম বলতে থাকেন, আমরা থানায় টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না।