টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি গোল্ডেন বল। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে এটি শুরু হয়েছে। পাওলো রসি, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও রোমারিও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি গোল্ডেন বল পেয়েছেন। অন্য আসরগুলোতে গোল্ডেন বল বিজয়ী ফুটবলারের দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসিকে নিয়ে প্রতিবেদন।
২০১৪ বিশ্বকাপ: লিওনেল মেসি
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে লিওনেল মেসিকে নিয়ে অনেক সংশয় ছিল। কিছুটা অফ ফর্মের সঙ্গে ছিল ইনজুরির সমস্যা। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে মেসি তার সেরা বিশ্বকাপটা কাটিয়েছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে। প্রথম চার ম্যাচেই তিনি ম্যাচ সেরা হয়েছেন।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে আর্জেন্টিনার সেই বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল। প্রথম ম্যাচেই গোল করেছিলেন মেসি। এই গোলটি ছিল আট বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে আবারও তার গোল।
দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে বেশ ভুগতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা গোলশূন্য ছিল। ইনজুরি সময়ে জয়সূচক গোল করেন মেসি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার তার।
নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-২ গোলে জিতে। সেই তিন গোলের মধ্যে দু’টি গোলই মেসির। এই ম্যাচেও ম্যাচ সেরা মেসি।
তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা। এই পর্বে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে খেলা ছিল। সেই ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মেসির বাড়ানো বলেই গোল পান আনহেল ডি মারিয়া আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ১-০ গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের সেমিতে উঠে আর্জেন্টিনা। সেই সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রকোরে পরাজিত করে মেসির দল। মেসিই টাইব্রেকারে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন।
রিও ডি জেনোরিওতে ফাইনালটিতে হয় ১৯৯০ এর পুনরাবৃত্তি। ম্যারাডোনা যেমন সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কড়া মার্কিংয়ে ছিলেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপেও মেসির ক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেছিল। সেই বেড়াজাল ভেঙে গনজালো হিগুয়াইন একবার বল জালে পাঠালেও অফ সাইডে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হেরে যায়। আর্জেন্টিনা হারলেও মেসি টুর্নামেন্টের সেরা হন।