ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিষ্ট সরকারের আশির্বাদপুষ্ট বিতর্কীত ব্যবসায়ি হাবিবুল্লাহ ডনের অবৈধ অর্থের অনুসন্ধানের দাবি !

৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর বৃহত্তর ব্যবসায়িক সেক্টারের ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনে কপাল খুলেছে কিছু বিতর্কীত ব্যবসায়িদের । যারা বিগত সরকারের সময় লুটপাট করে টাকার কুমির বনে গেছেন আবার সেই একই ব্যাক্তিরা এই অন্তরবর্তীকালিন সরকারে এসেও বহাল তবিয়তে থেকে ব্যবসায়ি মহলকে অশান্ত করে অর্থনিতীকে ধংশ করে দেওয়ার চক্রান্তে নেমেছে । এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে ‘মি’ আধ্যাখ্যের বিএনপির সাবেক ব্যবসায়িক নেতা। ইতিমধ্যে তার বাহিনীর হাতে কুক্ষিগত হয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ি সমাজ । এসব করতে গিয়ে পুরনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ি লুটেরা নতুন ভাবে যোগ দিয়েছে তার শিবিরে। এদের মধ্যে আলোচিত বিতর্কীত ব্যবসায়ি বারভিডার সভাপতি সকল দুধের মাছি খ্যাত আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব উল্লাহ ডন । এ নিয়ে বিএনপির ত্যাগি ব্যবসায়ি নেতাদের মাঝে যেমন ক্ষোভ আছে, তেমনি ভীত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ি উদ্যোক্তা ও কর্তা ব্যাক্তিরা ।

কে এই হাবিবুল্লাহ ডনঃ

গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ ডন । এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আর এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক । ফ্যাসিষ্ট সরকারের সবচেয়ে সুবিধাভোগি গাড়ি ব্যবসায়ি এই হাবিবুল্লাহ ডন । আলোচিত পিয়াসা কান্ডেও ছিল তার নাম । তার মালিকানাধীন গুলশানের গাড়ির শোরুম অটো মিউজিয়ামে চোরাই গাড়ি বিক্রি হয় বলে তখন আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশিলরা জানিয়েছিল এবং মডেল পিয়াসা ঐ চোরাই গাড়ি সিন্ডিকেটের সদস্য। অটো মিউজিয়াম থেকে পিয়াসার সহযোগী মিশুর চুরি করা একটি গাড়িও উদ্ধার করেছিল র‌্যাব। সিআইডি সূত্রে জানা যায় , ঐ সময় গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি তল্লাশি করে প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ির সাথে পিয়াসা, পরীমণি সহ অনেক উঠতি মডেলদের যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল । সিআইডি সূত্র আরও জানায়, ফেরারি ব্র্যান্ডের এফ-৪৩০ সিরিয়ালের ৬ হাজার সিসির গাড়ি জব্দ করা হয়েছিল । এ ধরনের উচ্চ সিসির গাড়ি বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। এ কারণে সেগুলোর বৈধভাবে নিবন্ধনের সুযোগ নেই। অটো মিউজিয়াম থেকে উদ্ধার গাড়িটিতে যে নম্বর প্লেট লাগানো ছিল, সেটিও ছিল জাল। বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে । এত কিছুর পরও বহাল তবিয়তে রয়েছে বিতর্কিত এই ব্যবসায়ি । সব আমলেই হাবিবুল্লাহ ডন দুধের মাছি। তিনি এতটাই কৌশলী যে সরকার বদলায়,দেশ বদলায় কিন্তু তিনি বদলান না। এতকিছুর পরও থেকে যান স্বপদে-স্বমহিমায় । বারভিডার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য বলেন এতদিন শুনেছি তিনি আওয়ামীলীগের বড় নেতা আর এখন শুনি তিনি বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর উপদেষ্টা । তার রাহু গ্রাস থেকে বারভিডাকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি
জানাচ্ছি ।

এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়,হাইব্রিড গাড়ি তেলের গাড়ির চেয়ে শুল্ক সুবিধা বেশি। আর এই সুবিধা পেয়ে গত চার বছরে অবাধে আমদানি হচ্ছিল বিলাসবহুল হাইব্রিড গাড়ি। কোনটি হাইব্রিড, কোনটি নন-হাইব্রিড বিষয়টি নিয়ে কাষ্টমসের সাথে জটিলতা তৈরি হয় । এর মধ্যে গত মে মাসে অটো মিউজিয়ামের দুটি বিলাসবহুল হাইব্রিড গাড়িকে ‘মিথ্যা ঘোষণা’ দিয়ে আনার জন্য ১৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এভাবেই সে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে থাকে ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিষ্ট সরকারের আশির্বাদপুষ্ট বিতর্কীত ব্যবসায়ি হাবিবুল্লাহ ডনের অবৈধ অর্থের অনুসন্ধানের দাবি !

আপডেট সময় ০৩:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর বৃহত্তর ব্যবসায়িক সেক্টারের ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনে কপাল খুলেছে কিছু বিতর্কীত ব্যবসায়িদের । যারা বিগত সরকারের সময় লুটপাট করে টাকার কুমির বনে গেছেন আবার সেই একই ব্যাক্তিরা এই অন্তরবর্তীকালিন সরকারে এসেও বহাল তবিয়তে থেকে ব্যবসায়ি মহলকে অশান্ত করে অর্থনিতীকে ধংশ করে দেওয়ার চক্রান্তে নেমেছে । এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করছে ‘মি’ আধ্যাখ্যের বিএনপির সাবেক ব্যবসায়িক নেতা। ইতিমধ্যে তার বাহিনীর হাতে কুক্ষিগত হয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ি সমাজ । এসব করতে গিয়ে পুরনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ি লুটেরা নতুন ভাবে যোগ দিয়েছে তার শিবিরে। এদের মধ্যে আলোচিত বিতর্কীত ব্যবসায়ি বারভিডার সভাপতি সকল দুধের মাছি খ্যাত আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব উল্লাহ ডন । এ নিয়ে বিএনপির ত্যাগি ব্যবসায়ি নেতাদের মাঝে যেমন ক্ষোভ আছে, তেমনি ভীত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ি উদ্যোক্তা ও কর্তা ব্যাক্তিরা ।

কে এই হাবিবুল্লাহ ডনঃ

গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ ডন । এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আর এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক । ফ্যাসিষ্ট সরকারের সবচেয়ে সুবিধাভোগি গাড়ি ব্যবসায়ি এই হাবিবুল্লাহ ডন । আলোচিত পিয়াসা কান্ডেও ছিল তার নাম । তার মালিকানাধীন গুলশানের গাড়ির শোরুম অটো মিউজিয়ামে চোরাই গাড়ি বিক্রি হয় বলে তখন আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশিলরা জানিয়েছিল এবং মডেল পিয়াসা ঐ চোরাই গাড়ি সিন্ডিকেটের সদস্য। অটো মিউজিয়াম থেকে পিয়াসার সহযোগী মিশুর চুরি করা একটি গাড়িও উদ্ধার করেছিল র‌্যাব। সিআইডি সূত্রে জানা যায় , ঐ সময় গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি তল্লাশি করে প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ির সাথে পিয়াসা, পরীমণি সহ অনেক উঠতি মডেলদের যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল । সিআইডি সূত্র আরও জানায়, ফেরারি ব্র্যান্ডের এফ-৪৩০ সিরিয়ালের ৬ হাজার সিসির গাড়ি জব্দ করা হয়েছিল । এ ধরনের উচ্চ সিসির গাড়ি বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। এ কারণে সেগুলোর বৈধভাবে নিবন্ধনের সুযোগ নেই। অটো মিউজিয়াম থেকে উদ্ধার গাড়িটিতে যে নম্বর প্লেট লাগানো ছিল, সেটিও ছিল জাল। বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে । এত কিছুর পরও বহাল তবিয়তে রয়েছে বিতর্কিত এই ব্যবসায়ি । সব আমলেই হাবিবুল্লাহ ডন দুধের মাছি। তিনি এতটাই কৌশলী যে সরকার বদলায়,দেশ বদলায় কিন্তু তিনি বদলান না। এতকিছুর পরও থেকে যান স্বপদে-স্বমহিমায় । বারভিডার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য বলেন এতদিন শুনেছি তিনি আওয়ামীলীগের বড় নেতা আর এখন শুনি তিনি বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর উপদেষ্টা । তার রাহু গ্রাস থেকে বারভিডাকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবি
জানাচ্ছি ।

এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়,হাইব্রিড গাড়ি তেলের গাড়ির চেয়ে শুল্ক সুবিধা বেশি। আর এই সুবিধা পেয়ে গত চার বছরে অবাধে আমদানি হচ্ছিল বিলাসবহুল হাইব্রিড গাড়ি। কোনটি হাইব্রিড, কোনটি নন-হাইব্রিড বিষয়টি নিয়ে কাষ্টমসের সাথে জটিলতা তৈরি হয় । এর মধ্যে গত মে মাসে অটো মিউজিয়ামের দুটি বিলাসবহুল হাইব্রিড গাড়িকে ‘মিথ্যা ঘোষণা’ দিয়ে আনার জন্য ১৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এভাবেই সে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে থাকে ।