ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুনের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে ধামরাই বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ করে।
এতে ধামরাইয়ের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মিছিলে তারা, ‘বদলির আদেশ মানি না’, ‘বদলি প্রত্যাহার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যোগদানের পর থেকেই এই ইউএনও সামাজিক ও যুব সমাজের জন্য নিজ উদ্যোগে নানা কাজ করেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নেন। অফিসের বাইরে এসেও মানুষের কথা শোনেন। মাত্র কয়েক মাসেই তিনি আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশেছেন। আমরা তাকে ধামরাইয়ে চাই।’
এ সময় তারা বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাগুফতা হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ধামরাই উপজেলার ইউএনও খান মো. আব্দুল্লা আল মামুনকে মিঠামইন কিশোরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ বদলির আদেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই এনিয়ে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
এরই জেরে ইউএনও এর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এবার মিছিল ও মানববন্ধন করলো শিক্ষার্থীরা।
খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এখানে আসার পর আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বদলির আদেশ হওয়ার পর থেকেই গতকাল ও আজ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করেছে। আজও তারা উপজেলা পরিষদে এসে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। আমি তাদের এমনটা না করতে বুঝিয়েছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার ফারজানা জামান বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক বিষয়। আমরা চাকরি করি, সরকার যাকে যেখানে মনে করবে, তাকে সেখানে বদলি দিতে পারে। আমাদের বাধ্যবাধকতা আছে সেই আদেশ মানার। মানুষের চাওয়া থাকতে পারে, গণতান্ত্রিক দেশ, সবারই চাওয়া পাওয়া জানানোর সুযোগ রয়েছে। সেভাবে হয়তো তারা বলেছেন। কিন্তু আমাদের এখানে এটা কোনো প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে হয় না।’