হঠাৎ এত অস্ত্র কেন দরকার হল? সেটিও সেই পাকিস্তানের কাছ থেকে? হয়তো এটা আর্মির চাহিদা যা আগের সরকার মুলতুবি রেখে ছিল ৷ কিন্তু ঋণে মাথা যার বিকিয়ে গেছে বস্ত্রশিল্পের কাঁচা মাল কেনার বিদেশী মুদ্রা নেই তাহলে অস্ত্র কিনলে ঋনদাতারা কী বলবে ?
বাংলাদেশ তিন দিক থেকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত এবং এর চতুর্থ দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, প্রায়ই নয়া দিল্লিকে প্রশ্ন করতে বাধ্য করে, কোথায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গোলাবারুদ ব্যবহার করতে চায়। পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (পিওএফ) বোর্ডের রপ্তানি বিভাগ তার সমস্ত কারখানায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আদেশের তালিকা পাঠিয়েছে।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সামরিক রপ্তানির বিশদ বিবরণ পিওএফ থেকে হাভেলিয়ান, সাঞ্জওয়াল এবং গাদওয়ালের বিভিন্ন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ পর্যন্ত তিনটি চালানে রপ্তানি হবে।
এর মধ্যে রয়েছে ৪০,০০০ হাজার রাউন্ডের বেশি গোলা, মোমে আবৃত ৪০ টন RDX বিস্ফোরক এবং ২৯০০ হাজার উচ্চ তীব্রতার প্রজেক্টাইল।
২০২৩ সালের গোড়ার দিকে পূর্ববর্তী অর্ডারটি কেবল ১২,০০০ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদের জন্য ছিল।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো মনে করে যে বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে বিক্ষোভ হয়েছে তা পাকিস্তান ও চীনা গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জামায়াত-ই-ইসলামী র সহযোগিতায় হয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামী , বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের (আইসিএস) ভূমিকা কোটা নিয়ে বিক্ষোভকে পাকিস্তান ও চীনের অনুকূলে একটি শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা ছিল যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ভারত সরকারকে দেওয়া তথ্যে বেরিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশে শান্তিকামী মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে সাধারণ জনগণের অভিমত।