ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

বাংলাদেশে ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করল ভারত

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত। বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পাইপলাইনটি দিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানি শুরু হয়।

এই পাইপলাইন বাংলাদেশের আরও গভীরে সম্প্রসারণের কথা ছিল। তবে সে পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে বলে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের (আইবিএফপি) মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ডিজেল বহনে ভারতের পরিকল্পনা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তি বলেছেন, ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশের পার্বতীপুরের বাইরেও প্রসারিত করার প্রস্তাব ছিল। তবে ভারত সরকার এখন এ পাইপলাইন সম্প্রসারণের বিষয়টিতে বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এ পাইপলাইনটি পার্বতীপুরেই শেষ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের একটি তেল ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনটি উদ্বোধন করেছিলেন।

আইবিএফপি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ১০ লাখ টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) বাংলাদেশে পরিবহন করার ক্ষমতা রয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সাতটি জেলায় এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল সরবরাহ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিলিগুড়ি মার্কেটিং রেল টার্মিনালে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

পাইপলাইনটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্মিত প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন। ২০২০ সালে এ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল এবং এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৫২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত সরকার দিয়েছিল ৩৩৭ কোটি টাকা।

তবে এ পাইপলাইন চুক্তি নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক। যে চুক্তির আওতায় এই পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছিল এবং ডিজেল আমদানি করা হচ্ছিল তাতে কি আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ না করায় এ চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশ জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় ভারতনির্ভর হয়ে পড়ছে কিনা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

বাংলাদেশে ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করল ভারত

আপডেট সময় ০৮:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত। বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পাইপলাইনটি দিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানি শুরু হয়।

এই পাইপলাইন বাংলাদেশের আরও গভীরে সম্প্রসারণের কথা ছিল। তবে সে পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে বলে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের (আইবিএফপি) মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ডিজেল বহনে ভারতের পরিকল্পনা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তি বলেছেন, ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশের পার্বতীপুরের বাইরেও প্রসারিত করার প্রস্তাব ছিল। তবে ভারত সরকার এখন এ পাইপলাইন সম্প্রসারণের বিষয়টিতে বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এ পাইপলাইনটি পার্বতীপুরেই শেষ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের একটি তেল ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইনটি উদ্বোধন করেছিলেন।

আইবিএফপি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ১০ লাখ টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) বাংলাদেশে পরিবহন করার ক্ষমতা রয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সাতটি জেলায় এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল সরবরাহ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিলিগুড়ি মার্কেটিং রেল টার্মিনালে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

পাইপলাইনটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্মিত প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন। ২০২০ সালে এ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল এবং এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৫২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত সরকার দিয়েছিল ৩৩৭ কোটি টাকা।

তবে এ পাইপলাইন চুক্তি নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক। যে চুক্তির আওতায় এই পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছিল এবং ডিজেল আমদানি করা হচ্ছিল তাতে কি আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ না করায় এ চুক্তির স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশ জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় ভারতনির্ভর হয়ে পড়ছে কিনা।