ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোপনীয়তার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ইনস্টাগ্রামকে ৪০৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছে আয়ারল্যান্ডের ডাটা সুরক্ষা কমিশন। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা।
মেটা মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত তথ্য ভুলভাবে পরিচালনা করায় এ জরিমানা করা হয়। আয়ারল্যান্ডের ডাটা সুরক্ষা কমিশনের তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছে, ইনস্টাগ্রাম ১৩-১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য অনুমোতি ছাড়াই প্রদর্শন করেছে।
অবশ্য মেটা এ দণ্ডাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দ্রুতই আপিল করবে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। রয়টার্স জানায়, এক ডাটা সায়েন্টিস্টের অনুসন্ধানে সর্বপ্রথম বিষয়টি ওঠে আসে। এই অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্যক্তিগত আইডিগুলোকে যখন বিজনেস আইডিতে রূপান্তর করা হয়, তখন ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের তথ্য ইনস্টাগ্রামে উন্মোচিত হয়ে যায়। অর্থাৎ অন্য ব্যবহারকারীরা সেই তথ্য দেখতে পান।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব টিনেজ ব্যবহারকারী তাদের বিজনেস অ্যাকাউন্ট সুইচ করেছে, তাদের কন্টাক্ট ইনফরমেশন ইনস্টাগ্রাম অনুমোতি ছাড়াই প্রদর্শন করেছে।
এদিকে মেটায় কর্মরত একজন বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ডাটা সেন্টারের অনুসন্ধানটি ইনস্টাগ্রামের পুরনো সেটিংসের ওপর করা হয়েছে। এটি প্রায় এক বছর আগে আমরা উন্মুক্ত করেছিলাম। বর্তমানে শিশুদের তথ্য অধিকার ও ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইনস্টাগ্রাম আরও নিত্য নতুন ফিচার আনছে।
মূলত ১৮ বছরের কম বয়সী যে কেউ ইনস্টাগ্রামে যোগদান করলে তার অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যক্তিগত হয়ে যায়। ফলে তারা কী পোস্ট করে তা তারা জানে এবং প্রাপ্তবয়স্করা তাদের অনুসরণ করে না, এমনকি অন্য কিশোরদেরও বার্তা দিতে পারে না। তবে তারা কীভাবে এই জরিমানা গণনা করেছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত নই।