ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারেকে অপসারনের দাবি ( প্রথম পর্ব )

সারাদেশের গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখন একটাই শ্লোগান “শামীম আখতার হটাও গণপূর্ত বাঁচাও”। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন গণপূর্ত কার্যালয়ে এই শ্লোগান শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে গণপূর্তের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মন্তব্য হলো: গণপূর্ত বিভাগ সৃষ্টির পর থেকে এমন অযোগ্য ও অদক্ষ প্রধান প্রকৌশলী তারা একটিও পান নি। তাকে যত তাড়াতাড়ি প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে ততোই অধিদপ্তরের মংগল হবে। এ বিষয়ে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপদেষ্টার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য গত চার বছর ধরে সমস্ত নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদউল্লাহ খন্দকারের দুর্ণীতির সহযাত্রী হিসেবে সাত নম্বরে সিরিয়ালে থাকা শামীম আখতারকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই পদে তখন ছিলেন ১৫তম বিসিএসে গণপূর্ত ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জনকারী একজন মেধাবী প্রকৌশলী যিনি তালিকায় প্রথম ছিলেন। সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ায় তাকে ১১ মাসের মাথায় অপসারণ করা হয় যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নীতি বিরোধী। শুধু তাকে অপসারণ করে ক্ষান্ত হয়নি ২৪ ঘন্টার নোটিশে প্রধান প্রকৌশলীর বাসভবনের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। যা অমানবিক এবং মানবতা বিরোধী। তার একটাই অপরাধ মেধাবী হয়েও তিনি জন্মেছিলেন বগুড়ায়। অথচ অনিয়ম দুর্নীতি করেও আজও দুর্নীতিবাজ সচিব শহিদুল্লা খন্দকারের দোসর শামীম আখতার চার বছর ধরে লুটেপুটে খাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। তিনি অনিয়মের মাধ্যমে সালমান এফ রহমানসহ দুর্নীতিবাজদের সহযোগী ছিলেন। সম্প্রতি রমনা পার্কের ভেতরের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের টেন্ডারে প্রথমজনকে না দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে সালমান এফ রহমানের ক্যাডার তৃতীয় ব্যক্তিকে রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ দেন। যা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতীতের সকল রেকর্ড ভংগ করেছেন গনপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। পীর নামধারী এই ব্যক্তি লেবাসের আড়ালে যেমন নারী প্রীতিতে সিদ্ধহস্ত তেমনি দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেও চ্যাম্পিয়ন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের টেন্ডারবাজি থেকে বদলি বাণিজ্য সব কিছুই তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করে থাকেন তিনি ।

আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবিআরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলন; প্রভৃতি অনিয়ম-দুর্নীতি সর্ম্পকে অবহিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমশিন প্রধান কার্যালয় থেকে দুই সদস্যরে সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গত ০৬-১১-২০২২ তারিখে একটি এনর্ফোসমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবআিরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন সময়ে শামীম আখতার ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সিকিউরিটি গার্ড, সুপারভাইজার ও ইনচার্জ নিয়োগ দিয়েছিলেন। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আমিনুল হক অভিযোগ করেন, ২১ মার্চ ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট ১৮ সাল পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ছিল। তার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বিধি বর্হিভূতভাবে বাতিল করায় তিনি একটি অভিযোগ করেন। তৎকালীন সময় ওই প্রতিষ্ঠানের নিকট ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ টাকা বকেয়া বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। তার অভিযোগে সাবেক বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বকেয়া দেনা পরিশোধের সুপারিশ করেন।

পরবর্তীতে অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আরও ২ টি তদন্ত প্রতিবেদনসহ মেট ৩ টি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় বলে হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবআিরআই) এর বর্তমান মহাপরিচালক। ২৬ অক্টোবর ২২ তারিখে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠির মাধ্যমে জানা যায়। অভ্যন্তরীণ ৩ টি তদন্ত প্রতিবেদনে বিপুল পরিমান অর্থিক অনিয়ম ও সরকারী অর্থ অপচয়ের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে,এতে করে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশাল অংকের দায়-দেনা ও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে। এ বিষয়ে তৎকালীণ মহাপরিচালক শামীম আখতারের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। তিনি একজন সংস্থা প্রধান হওয়ায় উল্লিখিত বিপুল আর্থিক অনিয়ম ও দায়দেনার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এছাড়াও শামীম আখতারের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ। বিধি ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার এর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ এবং মাছ চাষ, সবজি চাষ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে। গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গণপূর্তকে বাঁচাতে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি বন্ধে মো: শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অন্যথায় দেশ ও জাঁতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পাশাপাশি যিনি চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার এবং দুর্নীতিবাজ সাবেক গণপৃর্ত সচিব মোঃ শহীদউল্লা খন্দকারের রোষানলের পড়ে মানসিক যন্ত্রণার শিকার। যিনি মেধাবী এবং ১৫তম বিসিএসএ গণপূর্ত ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন এবং প্রধান প্রকৌশলীর তালিকা প্রথম ছিলেন তাকেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের সর্বস্তরের প্রকৌশলী কর্মকর্তারা প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পুণনরায় এই পদে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারেকে অপসারনের দাবি ( প্রথম পর্ব )

আপডেট সময় ১০:০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

সারাদেশের গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখন একটাই শ্লোগান “শামীম আখতার হটাও গণপূর্ত বাঁচাও”। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন গণপূর্ত কার্যালয়ে এই শ্লোগান শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে গণপূর্তের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মন্তব্য হলো: গণপূর্ত বিভাগ সৃষ্টির পর থেকে এমন অযোগ্য ও অদক্ষ প্রধান প্রকৌশলী তারা একটিও পান নি। তাকে যত তাড়াতাড়ি প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে ততোই অধিদপ্তরের মংগল হবে। এ বিষয়ে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপদেষ্টার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য গত চার বছর ধরে সমস্ত নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদউল্লাহ খন্দকারের দুর্ণীতির সহযাত্রী হিসেবে সাত নম্বরে সিরিয়ালে থাকা শামীম আখতারকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই পদে তখন ছিলেন ১৫তম বিসিএসে গণপূর্ত ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জনকারী একজন মেধাবী প্রকৌশলী যিনি তালিকায় প্রথম ছিলেন। সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ায় তাকে ১১ মাসের মাথায় অপসারণ করা হয় যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নীতি বিরোধী। শুধু তাকে অপসারণ করে ক্ষান্ত হয়নি ২৪ ঘন্টার নোটিশে প্রধান প্রকৌশলীর বাসভবনের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। যা অমানবিক এবং মানবতা বিরোধী। তার একটাই অপরাধ মেধাবী হয়েও তিনি জন্মেছিলেন বগুড়ায়। অথচ অনিয়ম দুর্নীতি করেও আজও দুর্নীতিবাজ সচিব শহিদুল্লা খন্দকারের দোসর শামীম আখতার চার বছর ধরে লুটেপুটে খাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। তিনি অনিয়মের মাধ্যমে সালমান এফ রহমানসহ দুর্নীতিবাজদের সহযোগী ছিলেন। সম্প্রতি রমনা পার্কের ভেতরের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের টেন্ডারে প্রথমজনকে না দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে সালমান এফ রহমানের ক্যাডার তৃতীয় ব্যক্তিকে রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ দেন। যা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতীতের সকল রেকর্ড ভংগ করেছেন গনপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। পীর নামধারী এই ব্যক্তি লেবাসের আড়ালে যেমন নারী প্রীতিতে সিদ্ধহস্ত তেমনি দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেও চ্যাম্পিয়ন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের টেন্ডারবাজি থেকে বদলি বাণিজ্য সব কিছুই তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করে থাকেন তিনি ।

আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবিআরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলন; প্রভৃতি অনিয়ম-দুর্নীতি সর্ম্পকে অবহিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমশিন প্রধান কার্যালয় থেকে দুই সদস্যরে সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গত ০৬-১১-২০২২ তারিখে একটি এনর্ফোসমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবআিরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন সময়ে শামীম আখতার ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সিকিউরিটি গার্ড, সুপারভাইজার ও ইনচার্জ নিয়োগ দিয়েছিলেন। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আমিনুল হক অভিযোগ করেন, ২১ মার্চ ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট ১৮ সাল পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ছিল। তার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বিধি বর্হিভূতভাবে বাতিল করায় তিনি একটি অভিযোগ করেন। তৎকালীন সময় ওই প্রতিষ্ঠানের নিকট ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ টাকা বকেয়া বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। তার অভিযোগে সাবেক বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বকেয়া দেনা পরিশোধের সুপারিশ করেন।

পরবর্তীতে অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আরও ২ টি তদন্ত প্রতিবেদনসহ মেট ৩ টি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় বলে হাউজিং এ- বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচবআিরআই) এর বর্তমান মহাপরিচালক। ২৬ অক্টোবর ২২ তারিখে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠির মাধ্যমে জানা যায়। অভ্যন্তরীণ ৩ টি তদন্ত প্রতিবেদনে বিপুল পরিমান অর্থিক অনিয়ম ও সরকারী অর্থ অপচয়ের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে,এতে করে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশাল অংকের দায়-দেনা ও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে। এ বিষয়ে তৎকালীণ মহাপরিচালক শামীম আখতারের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। তিনি একজন সংস্থা প্রধান হওয়ায় উল্লিখিত বিপুল আর্থিক অনিয়ম ও দায়দেনার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এছাড়াও শামীম আখতারের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ। বিধি ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার এর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ এবং মাছ চাষ, সবজি চাষ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে। গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গণপূর্তকে বাঁচাতে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি বন্ধে মো: শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অন্যথায় দেশ ও জাঁতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পাশাপাশি যিনি চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার এবং দুর্নীতিবাজ সাবেক গণপৃর্ত সচিব মোঃ শহীদউল্লা খন্দকারের রোষানলের পড়ে মানসিক যন্ত্রণার শিকার। যিনি মেধাবী এবং ১৫তম বিসিএসএ গণপূর্ত ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন এবং প্রধান প্রকৌশলীর তালিকা প্রথম ছিলেন তাকেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের সর্বস্তরের প্রকৌশলী কর্মকর্তারা প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পুণনরায় এই পদে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।